চট্টগ্রাম বন্দরে দুর্ঘটনা/ দুই দিন পর আলাদা হল জাহাজ দুটি, কন্টেইনার খালাসও শুরু

চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে একটি বিশেষ বাহিনীর জাহাজকে ‘সাইড’ দিতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে আটকে থাকার দুই দিন পর আলাদা করা হলো ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ মহানন্দা এবং বুরগানকে। শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের পতেঙ্গা এলাকায় জাহাজ দুটির সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনার দুই দিন পর রোববার (১৬ জুন) সকাল আটটার দিকে জাহাজ দুটিকে আলাদা করে চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ-প্রকৌশল বিভাগ। এরপর বেলা ১২টার দিকে কন্টেইনারবাহী জাহাজটিকে বন্দরের জেটিতে নিয়ে আসার পর বিকাল তিনটা থেকে শুরু হয়েছে কন্টেইনার খালাস।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, শ্রীলঙ্কা থেকে আসা কন্টেইনারবাহী জাহাজ এক্সপ্রেস মহানন্দা এবং কুয়েতি অয়েল ট্যাংকার এমটি বুরগানের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুই দিন পর জাহাজ দুটিকে আলাদা করা হয়েছে। রোববার (১৬ জুন) সকাল আটটার দিকে আলাদা করার পর কন্টেইনারবাহী জাহাজটিকে বন্দরের নিজস্ব পাইলটের মাধ্যমে বন্দরের জেটিতে আনা হয়।

এ ঘটনায় বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, রোববার সকালে জাহাজ দুটিকে আলাদা করার পর কন্টেইনারবাহী জাহাজ এক্সপ্রেস মহানন্দাকে বন্দরের জেটিতে আনা হয়। বিকাল তিনটায় জাহাজটি থেকে কন্টেইনার খালাস শুরু হয়। অন্যদিকে অয়েল ট্যাংকারটিকে ডলফিন জেটিতে রাখা হয়।

বন্দর সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৪ জুন) বহির্নোঙর থেকে পণ্য খালাসের উদ্দেশ্যে বন্দরের জেটিতে আসছিল কনটেইনারবাহী জাহাজ এমভি এক্সপ্রেস মহানন্দা। এ সময় বন্দর চ্যানেলের পতেঙ্গা এলাকায় এমটি বুরগান নামের অয়েল ট্যাংকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে জাহাজ দুটির সামনের অংশ মুখোমুখি আটকে যায়। এরপর টাগবোটের সহায়তায় কনটেইনার জাহাজটিকে চট্টগ্রাম ড্রাইডকে নিয়ে যাওয়া হয়। অয়েল ট্যাংকারটি রাখা হয়েছে সাত নম্বর ডলফিন জেটিতে।

কনটেইনারবাহী এক্সপ্রেস মহানন্দা জাহাজটি শ্রীলঙ্কা থেকে ৭৪৪টি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। বহির্নোঙ্গর থেকে সেটি বন্দরের জেটির উদ্দেশ্যে আসছিল। অন্যদিকে কুয়েতি অয়েল ট্যাংকার এমটি বুরগান ডলফিন জেটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে দুই জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকী জানান, একটি বিশেষ সংস্থার জাহাজকে ‘সাইড’ দিতে গিয়ে দুটি জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। জাহাজ দুটির ইঞ্জিন মোটামুটি ঠিক থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাহাজের বডি (কাঠামো)।

এসসি/সিপি