চট্টগ্রামে যানজট কমাতে কাজ করবে তিন সংস্থা, শুরুতেই ওয়াসা ও আগ্রাবাদ এলাকা

চট্টগ্রাম নগরে যানজট কমাতে একসঙ্গে কাজ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করবে এই তিন সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে সিটি কর্পোরেশন, সিএমপি এবং বিআরটিএ’র মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় বি-ট্র্যাক সলিউশন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালুর বিষয়ে পাইলট প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরে।

যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের স্থান তৈরির পাশাপাশি পার্কিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন বলে সভায় মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সভায় মেয়র রেজাউল বলেন, ‘নগরীতে পার্কিং এর পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় পর্যাপ্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও নগরের কিছু পয়েন্টে যানজট তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আমি দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে প্রযুক্তিভিত্তিক পে-পার্কিং চালু করা গেলে নগরীর যানজট অনেকটা কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, তার আলোকে আমরা স্মার্ট পে-পার্কিং সিস্টেম চালু করব।’

আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা এবং ওয়াসা মোড় থেকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন, সিএমপি এবং বিট্র্যাক সলিউশন যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে যে কোনো একটি স্থানে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানানো হয় সভায়।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পে-পার্কিং জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করব আমরা।’ তিনি নগরকে হকারমুক্ত করতে ‘নাইট মার্কেট’ চালুর প্রস্তাব দেন।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, পে-পার্কিং চালুর পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বিকেন্দ্রীকরণে সিএমপি এবং বিআরটিএ’র সহযোগিতা কামনা করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া চসিকের পে-পার্কিং চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পের ক্ষেত্রে পার্কিং করা গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্পের প্রয়োজেন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করতে হবে।’

বিআরটিএ’র পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা বলেন, ‘নগরে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট র্যা শনালাইজেশন করছে বিআরটিএ। একেক শ্রেণির গাড়িকে একেকটি রুটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে নগরীতে জ্যাম হ্রাস পাবে।’

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!