চট্টগ্রামে টানা দুদিন ছয়শোর ওপরে করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৪

চট্টগ্রামে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ছয়শোর ওপরেই থাকল করোনা শনাক্ত। ৬১১ করোনা শনাক্তের দিনে করোনা কেড়েও নিয়েছে ৪ জনের প্রাণ। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৪৬৫ জন নগরের এবং ১৪৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, মারা যাওয়া ৪ জনই উপজেলার।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগী গিয়ে দাঁড়াল ৬২ হাজার ২০০ জন। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৮ হাজার ২৯৫ জন। আর বিভিন্ন উপজেলার ১৩ হাজার ৯০৫ জন। এদের মধ্যে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ৭৩৫ জন। এদের মধ্যে ৪৮৪ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২৫১ জন।

বুধবার (৭ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১০টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ১ হাজার ৬৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৬১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পজিটিভ আসে ৫৯ জনের শরীরে। এদের মধ্যে ৩৫ জন নগরের এবং ২৪ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনার উপস্থিতি মিলে দিনের সর্বোচ্চ ১৫৫ জনের দেহে। এদের মধ্যে নগরের ১২০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৩৫ জন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ জনকে করোনার জীবাণু বাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে নগরের ৪১ জন। বাকি ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৭৭ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ৪৬ জন নগরের অধিবাসী, বাকি ৩১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ২৭ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে ২৪ জনই নগরের, ৩ জন উপজেলার।

এছাড়া, নগরীর বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্ট করানো হয় ২৬১টি নমুনা। তাতে করোনা পজিটিভ আসে ৮৭ জনের। এর মধ্যে ৫৬ জন নগরের এবং ৩১ জন বিভিন্ন উপজেলার।

নগরীর বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগারের মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। তাতে ৫৬ জনের দেহে ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ৫৪ জনই নগরের, ২ জন উপজেলার। শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন করোনা পজিটিভ রোগীর খোঁজ মিলে। যাদের ২৪ জন নগরের এবং ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জন করোনা রোগীর হদিস পাওয়া যায়। যাদের ১৩ জন নগরের, ২ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১৬ ও উপজেলার ২ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ইপিক হেলথ কেয়ারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ৩৭ জনই নগরের, বাকি ৬ জন উপজেলার।

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ২ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভি পাওয়া যায়।

উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত রোগী পাওয়া যায় সীতাকুণ্ডে। সেখানে ৩২ জনের দেহে ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যায়। এছাড়া মিরসরাইয়ে ২৪ জন, ফটিকছড়িতে ১১ জন, হাটহাজারীতে ১৮ জন, রাউজানে ১৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১০ জন, লোহাগাড়ায় ১ জন, বাঁশখালীতে ২ জন, পটিয়ায় ১৪ জন, আনোয়ারায় ১০ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন এবং চন্দনাইশ ও সন্দ্বীপে ১ জন করে ​করোনা পজিটিভ রোগীর হদিস মিলে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!