চট্টগ্রামে আসার আগে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন সাকিবরা

চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট দিয়ে প্রায় পাঁচ মাস পর আবারও লাল বলের খেলায় ফিরছে টিম টাইগার। সেই যে মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজই শেষ হলো, এরপর কেটে গেছে অনেক সময়। মাঝে খেলতে হয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ড থেকে দল দেশে ফিরে আসার পর ব্যস্ত থেকেছে শুধুই ওয়ানডে নিয়ে। পাঁচ দিনের টেস্ট তো দুরে থাক, চারদিন, তিনদিন কিংবা দুই দিনের ম্যাচও খেলেননি জাতীয় দলেল ক্রিকেটাররা।

‘এ’ দল তবু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কান ‘এ’ দলের বিপক্ষে কয়েকটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে; কিন্তু জাতীয় দল একটি দু’দিনের ম্যাচেও অংশ নেয়নি এই সময়ের মধ্যে। শুধু দেশে এবং আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এরপর লন্ডন, কার্ডিফ, ব্রিস্টল থেকে শুরু করে সাউদাম্পটনে শুধুই একদিনের ক্রিকেট। বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর দেশে ফিরে এসে বিশ্রামের ফুরসত মিললো না। ক্রিকেটাররা চলে গেলো শ্রীলঙ্কায়। সেখানেও ওয়ানডে সিরিজ। সব মিলিয়ে গত ৫-৬ মাসে লঙগার ভার্সনের ক্রিকেটের সঙ্গে দেখাই নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।

অবশেষে চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট এবং জিম্বাবুয়ে-আফগানদের নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য তিনজাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতি। প্রথমে চার-পাঁচদিনের টানা কন্ডিশনিং ক্যাম্প। যেখানে শরীরটাকে একটু চাঙ্গা করে, ফিটনেস ঠিক করে নিয়ে সোজা নতুন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট এবং ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের অধীনে কয়েকদিন প্রায় সারা দিনের স্কিল ট্রেনিং করলো টাইগার ক্রিকেটাররা।

প্র্যাকটিস সেশনে রুটিন মাফিক নেটে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাটিং-বোলিং প্র্যাকটিস করার সুযোগ থাকলেও দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ প্র্যাকটিসটা কিন্তু হয়নি ক্রিকেটারদের। পুরো ৫ দিন বহুদুর, ২-৩ দিনের ম্যাচ খেলারও সুযোগ মেলেনি। এই ঘাটতিটা থেকেই যাচ্ছে। বরং ৫ সেপ্টেম্বর টেস্ট খেলতে নামার আগে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে স্থানীয় বিসিবি একাদশের সাথে একটি দু’দিনের গা গরমের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে আফগানরা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, যারা টেস্ট খেলবেন বা টেস্ট দলে থাকবেন- তাদের কেউ চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের সাথে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন না। তাদের কাউকে হয়ত রাখাও হবে না বিসিবি একাদশে। টেস্টের আগে সেই দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ প্র্যাকটিস করাতে তাই ট্রেনিং সিডিউলে একটি দুই দিনের ম্যাচ যুক্ত করা হলো। ৩০ আগস্ট থেকেই শুরু হবে সেই ম্যাচ। তার আগে অবশ্য আরও একদিন বিশ্রাম পাবেন ক্রিকেটাররা।

ভাদ্র মাসের ‘তাল পাকা’ গরমে নাভিশ্বাস উঠে যাবার জোগাড়। একটু ক্লান্তিও হয়ত গ্রাস করেছে। সে ক্লান্তি যাতে অবসাদ হয়ে দেখা না দেয়, তাই মঙ্গলবার সপ্তাহের মাঝামাঝি প্র্যাকটিস ছিল বন্ধ। টাইগার ক্রিকেটারদের ছুটি। একদিন বিরতির পর বুধবার আবার প্র্যাকটিস। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন আর ফিল্ডিং প্র্যাকটিস।

জাতীয় দলের প্র্যাকটিস সিডিউল দেখে মনে হচ্ছে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে ২৮ আগস্ট বুধবারই রাজধানী ঢাকা মানে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শেষ প্র্যাকটিস সেশন হবে টাইগারদের। ভাবছেন, তা কেন হবে? জাতীয় দলের বহর তো ১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম যাবে। তাহলে ২৮ আগস্ট এত আগে ঢাকায় শেষ প্র্যাকটিস সেশন কেন হবে? হবে। ৫ সেপ্টেম্বর একমাত্র টেস্টের আগে কালই রাজধানীতে সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের শেষ প্র্যাকটিস সেশন।

কারণ পরদিন মানে ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আবার প্র্যাকটিস বন্ধ। ওই একদিন বিরতির পর টানা দু’দিন শেরে বাংলায় প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবেন সাকিব, মুশফিক, রিয়াদরা।

নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ৩০ ও ৩১ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে দীর্ঘ পরিসরের খেলার আদলে দু’দিনের প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এরপর ১ সেপ্টেম্বর সকালে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে টাইগাররা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!