চট্টগ্রামের ৩ স্পটে জালনোটের কারবার, ৫০০ টাকার ছড়াছড়ি

ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের আশপাশে বেড়েছে জালনোট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। বিভিন্ন কৌশলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে তারা জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরের তিন স্পটকেই টার্গেট করে জালনোটের ব্যবসা করছে চক্রটি।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্বপূর্ণ তিন স্পট—রিয়াজউদ্দিন বাজার, টেরিবাজার ও নিউমার্কেট এলাকায় ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের কাছে জাল নোট সরবরাহ করে আসছে একটি চক্র। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার ভিড়ের সুযোগ তারা জালনোট বাজারে ব্যবহার করে আসছে।

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালীতে এই জালনোট চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার নোটসহ প্রায় এক লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানা।

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার রাজাখালী ইউনিয়নের গোলাম কাদেরের ছেলে মো. মনিরুল আলম (৪৭), চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজারের মৃত ইউনুছের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৩৪) এবং বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকার মো. নুরুল আলমের ছেলে মো. মাসুদ আলম ওরফে চৌধুরী (৩৫)।

২৩ মার্চ মনিরুল এবং হারুনুর রশিদ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মাসুদ নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের অন্যান্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে এক লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক বলেন, ‘২৩ মার্চ স্টেশন রোড থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকা থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!