চট্টগ্রামের তিন হাসপাতালে উপচে পড়ছে করোনারোগী, সারা দেশেই বাড়ছে চাপ

ভয়াল জুনকেও ছাড়িয়ে যাবে চলতি জুলাই?

চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সব হাসপাতালেই হঠাৎ বেড়ে গেছে রোগীর চাপ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ হিসাবমতে, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামসহ দেশের অন্তত ১৫টি হাসপাতালে শয্যার তুলনায় রোগী ভর্তি রয়েছেন বেশিসংখ্যক।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হল ১১ হাজার ৬৫১ জনের শরীরে— একদিনে এতো বেশি শনাক্ত বাংলাদেশ আর দেখেনি কখনও। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, যদি এভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত এবং ভয়াল জুনকে ছাড়িয়ে যাবে চলতি জুলাই মাস।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০৬ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ১০ জন, বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১০৯ শয্যার বিপরীতে ১৪ জন, আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতালে ৪৩ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত তিন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগেরই ফেনী জেলার ফেনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যার বিপরীতে দুই জন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০৬ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ১৩ জন রোগী ভর্তি আছেন।

অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে করোনা ডেডিকেটেড কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ২৭৫ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন ৪১ জন। বেসরকারি ল্যাবএইড হাসপাতালে ৪৪ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন দুই জন।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগের বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২৪২ শয্যার বিপরীতে ৩১ জন, নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ৭০ শয্যার বিপরীতে ১৪ জন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৩৪ শয্যার বিপরীতে ৩১ জন অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন।

খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোর ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ১২১ শয্যার বিপরীতে ১৮ জন, কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ১৯০ শয্যার অতিরিক্ত ৭৯ জন, মাগুরা সদর হাসপাতালের ৫০ শয্যার বিপরীতে ১৫ জন অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন।

বরিশাল বিভাগে বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের ৫০ বেডের মধ্যে ৯ জন অতিরিক্ত, সিলেট বিভাগের সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ৮৪ বেডের বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন একজন।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২১০ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ভর্তি আছেন একজন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!