চট্টগ্রামের জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড

নিষিদ্ধি ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৩ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ মে) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়া এ রায় দেন।

দণ্ডিত এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুন দিনাজপুর জেলার সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে।

আর খালাস পাওয়া তিনজন হলেন, গাইবান্ধা জেলার তুলশীপাড়ার আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ, ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো.সুজন ও নগরের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার আব্দুল গণির ছেলে মাহবুবুর রহমান ওরফে খোকন।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ নগরের আকবরশাহ থানার এনআর স্টিল মিলের সামনের একটি ভাড়া করা ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আসামি এরশাদ হোসাইনকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় এরশাদের নাম উল্লেখ এবং দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরবর্তীতে খালাস পাওয়া তিনজনকে আটক করে চার্জশিট প্রদান করা হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, গত ১১ এপ্রিল আলোচিত মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। আজ (মঙ্গলবার) নির্ধারিত দিনে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে জেএমবির চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন তিনি।

বিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!