ফেনী জেলার এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় চট্টগ্রামের লোহাগড়ার সায়েম আহম্মেদ (২৪)। এরপর বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন সায়েম। কৌশলে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে রাখেনও তিনি। পরে তরুণী বিয়ের কথা বললে প্রেমের সম্পর্কও ছিন্ন করে প্রেমিক। এরপর থেকেই শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও নগ্ন ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেন সায়েম।
এ ঘটনায় তরুণী অভিযোগ প্রদান করে র্যাব-৭ চট্টগ্রামে।
সোমবার (৮ মে) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বাদাম তলী এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। বিষয়টি র্যাবের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে।
র্যাব জানায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট এলাকায় ভুক্তভোগী তরুণী তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। বোনের বাসায় আসার সুবাধে সায়েম আহম্মেদের সাথে পরিচয় হয় এবং পরিচয় সূত্রে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।
একপর্যায়ে সায়েম আহম্মেদ ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সর্ম্পক করেন। মোবাইলে গোপনে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা-মা বিয়ে দেওয়ার জন্য তৎপর হলে ভিকটিম তখন সায়েমকে এবিষয়ে জানান। এরপর সায়েম তৎক্ষনাত ভিকটিমের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিন্ন করে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী অন্য ছেলেকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।
র্যাব আরও জানায়, ৪ মে সায়েম একটি ভুয়া ফেইসবুক আইডি থেকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ভিকটিমের মেসেঞ্জার আইডিতে আগের নগ্ন ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে। এরপর ৫ মে আবার ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে সায়েম।
টাকা না দিলে ভুক্তভোগীর স্বামী ও আত্মীয়দের কাছে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই তরুণী র্যাব-৭ এর অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগে ভিত্তিতে সায়েমকে আটক করে র্যাব।
আরএম/এমএফও