চকরিয়ায় খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে খালুর হাতে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার শিশু ছাত্রী

চকরিয়া প্রতিনিধি :

দেশি-বিদেশি সিনেমোর কল্পকাহিনীকেও হার মানানো একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়ায়। অসহায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণ ছাড়াও পাচারকারীদের বিক্রয়ের চেষ্টা করা হয়। টানা দু’মাস কৌশলে জিম্মি রেখে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় ওই শিশুরেই আপন খালু মো.দিদারুল ইসলামকে।

rape_28568_1477294329
গ্রেপ্তারকৃত খালু দিদারুল ইসলাম(৩৬) উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর ঢেমুশিয়া পাড়ার(১নং ব্লক) মোহাম্মদ আবদুল খালেকের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় ধর্ষিতার শিশুর মামা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন রিয়াদ বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বাদি এজাহারে দাবি করেছেন, মা-বাবা বিচ্ছেদের পর উভয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। ফলে অসহায় অবস্থায় পড়ে ৯ বছর বয়সি শিশু। তাকে বদরখালীর শহরিয়া পাড়ার মামা মহিউদ্দিন রিয়াদ আশ্রয় দিয়ে স্কুলে ভর্তি করায়। বিপত্তি ঘটে গত কোরবানির ঈদে ভাগিনী খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পর। ভাগিনীকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করলেও নানা অজুহাতে ফেরত দিচ্ছিলনা খালু দিদার।

 

ভাগিনীকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ জাগে ভাগিনীকে দিয়ে অনৈতিক কোন কাজ করা হচ্ছে। সন্দেহের প্রেক্ষিতে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে গত ১৩ নভেম্বর পুলিশের সহায়তায় ভাগিনীকে খালু দিদারের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

এজাহারো আরো দাবি করা হয়, বেড়াতে যাওয়ার পর টানা দু’মাস নানাভাবে জিম্মি রেখে ধর্ষণ করা হয় শিশুকে। ওই শিশুর উদ্ধৃতি দিয়ে মামা এজাহারে বলেন খালার অনুপস্তিতিতে খালু ওষুধ খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে।

 

চিৎকরা করার চেষ্টা করলে মুখ চেপে ধরে। খালাকে বলে দেয়ার কথা বলায় হত্যার হুমকি দেয় খালু। সর্বশেষ ৬ নভেম্বর ধর্ষণের পর শিশুকে অজ্ঞাত লোকের কাছে বিক্রয়ের চেষ্টা করা হয়। ওই শিশুকে উদ্ধারের পর তার স্বাস্থ্য হানি ঘটলে ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালর ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ওই বিভাগের চিকিৎসক শিশুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর ধর্ষন ঘটনাটি শোনামাত্রই ২৩ নভেম্বর বিকালে কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিযর সহাকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মতিউল ইসলাম নিজেই একদল পুলিশ নিয়ে বদরখালীস্থ ধর্ষক দিদারের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় দিদার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এদিন রাত সাড়ে ১০ টায় থানায় দায়ের করা হয় মামলা।
এএসপি কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি বর্বরোচিত। আপন খালু হয়েও অসহায় শিশুকে জিম্মি রেখে ধর্ষন কোনভাবেই কাম্য নয়। কোন পশুই এমন হিং¯্র হতে পারেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষক দিদারকে আদারতে পাঠানো হয়েছে।

 

রিপোর্ট : মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া।

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!