মাত্র দশ মিনিট এরা সময় নেয়। এই দশ মিনিটেই এরা যে কোনো বাসার তালা ভেঙে মূল্যবান জিনিসপত্র হাওয়া করে দিতে সক্ষম। ঘরের তালা ভাঙতে তারা ব্যবহার করে এক ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সাধারণ হাতিয়ার। নাম তার কোরাবাড়ি। নাঈমুল হক, ফারুক, বশিরের নেতৃত্বে এরকম একটি চক্র কাজ করছে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, জেলরোডের ডিআইজি প্রিজন কার্যালয়ের বিপরীত পাশে অবস্থিত সাইদুল আলম ম্যানসনের একটি বাসায় চুরির ঘটনা শামসুন নাহার আলমের দায়ের করা মামলা তাদের আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নাঈমুল জানান, তিনি শতাধিক চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত। নাঈম একসময় আরেক পেশাদার চোর আব্দুল মান্নানের শিষ্য ছিলেন। মান্নান তার দল থেকে নাঈমকে বের করে দিলে নাঈম নিজেই চোরের দল গঠন করেন। নাঈমুলের বাড়ি সাতকানিয়ার খাগরিয়া এলাকায়। আটক হওয়া আরেক চোর ফারুকের বাড়িও খাগরিয়ায়। ফারুক জানায়, তাদের সাথে খাগরিয়ারই অর্ধশত চোর নগরে চুরির কাজে সক্রিয় রয়েছে। অপর চোর বশিরের বাড়ি চন্দনাইশ বৈলতলী।
নাঈমুল ডেবারপাড়ে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক ছিল। প্রাইম ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়ে এখন ফেরারী। তাই চুরিকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তার স্ত্রী শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তার পেশা সম্পর্কে পরিবারের অন্য সদস্যরা অন্ধকারেই ছিল।