লালখানবাজারে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবসায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি একাট্টা
পাহাড়ে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে গিয়ে বাধা পেল জেলা প্রশাসন
পাহাড় ধসের শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা লোকজনকে সরানোর অভিযানে গিয়ে নগরীর লালখানবাজার এলাকার মতিঝর্নায় পিডিবির অবৈধ মিটার ও বিলের কপি জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার জব্দ করতে গেলে বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম বাধা দেন জেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনাকারী দলকে।
জানা গেছে, অভিযান চলাকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং নম্বরবিহীন মতিঝর্ণা এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনায় পিডিবি থেকে দেওয়া অবৈধ মিটার খুঁজে পায় জেলা প্রশাসন। পরে অবৈধ সংযোগ যে ট্রান্সফরমার থেকে দেওয়া হয়েছে সেটি জব্দ করতে গেলে বিএনপি নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম তাতে বাধা দেন।
পরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের হস্তক্ষেপে ট্রান্সফরমার জব্দ না করে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে চলে আসতে হয়। ট্রান্সফরমার বর্তমানে মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনির জিম্মায় রয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পাহাড়ে উচ্ছেদে আসা সরকারি সংস্থার লোকজন যাদের বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ আছে তাদের লাইনও কেটে দিয়েছে। শুধু সেটা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা ট্রান্সফরমারও নিয়ে যাচ্ছে। আমার কথা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুক। কিন্তু বৈধ সংযোগ কেন বিচ্ছিন্ন করবে আবার ট্রান্সফরমারও নিয়ে যাবে। সেকারণে লোকজন আমাকে ডাকায় আমি সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে কেউ কাউকে বাধা দেয়নি বা কোনো ঝামেলাও হয়নি।’
অন্যদিকে বিএনপি দলীয় মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি বলেন, ‘পাহাড়ের পাদদেশে যারা আছে তাদের পুনর্বাসন না করে কেন উচ্ছেদ করবে? এখন তাদের সব বিদ্যুৎ পানির লাইন বিছিন্ন করে একটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকারে কাজে বাধা দেওয়া হয়নি। যারা উচ্ছেদ হয়েছে তাদের খাবারেরও ব্যবস্থা আমি করেছি।’