কর্ণফুলী গ্যাসের ঠিকাদার কারাগারে গেলেন দুদকের মামলায়

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারাগারে যেতে হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ঠিকাদার নেছার আহমদকে।

তার বিরুদ্ধে কেজিডিসিএল’র একটি ১০তলা ভবন নির্মাণ কাজ নিয়ে জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়াও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক।

এই মামলায় বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, নেছার আহমেদ এ মামলার তিন নম্বর আসামী। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, কেজিডিসিএল’র অবসরপ্রাপ্ত সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ শামীম (৬১), তার স্ত্রী কামরুন নাহার পলি (৫০), ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুর সিন্ডিকেটের স্বত্ত্বাধীকারী নুর মোহাম্মদ (৬২)।

সংশ্লিস্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিছ উদ্দিন আহমেদ ২০১১ সালে ব্যবস্থাপক থাকাকালীন সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ওই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত ঠিকাদার মেসার্স মেটকো কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধীকারী নেছার আহমদ ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহান এবং আনিছ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী কামরুন নাহারকে নিয়ে রক প্রপার্টিজ নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

আনিছ আহমেদের স্ত্রী কামরুন নাহারকে ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং নেছার আহমদকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়। আনিছ উদ্দিন আহমদ হন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। পরবর্তীতে ২০১২ সালে কর্ণফুলী গ্যাসের একটি ১০ তলা ভবন নির্মাণ কাজের জন্য মেসার্স নুর সিন্ডিকেটের সাথে রক প্রপার্টিজ চুক্তি করেন।

চুক্তিতে মেসার্স নুর সিন্ডিকেটের পক্ষে মালিক নুর মোহাম্মদ এবং রক প্রপার্টিজের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেছার আহমদ স্বাক্ষর করেন। ওই কাজের জন্য মেমার্স নুর সিন্ডিকেটকে প্রাপ্ত বিলের ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিশন বাবদ প্রদানের চুক্তি হয়। ওই কাজের বিল প্রত্যয়ন ও অনুমোদনকারী কর্মকর্তা হলেন কর্ণফুলী গ্যাসের ওই কর্মকর্তা আনিছ উদ্দিন আহমেদ। ওই কাজের বিলও প্রদান করেন আনিছ উদ্দিন আহমেদ নিজেই।
পরে দুদকের অনুসন্ধানে এ অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে।

অন্যদিকে ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা ব্যাংক, সিডিএ এভিনিউ শাখায় রক প্রপার্টিজের নামে একটি চলতি হিসাব খোলা হয়। আসামী নেছার আহমদ, কামরুন নাহার অথবা মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদের যৌথ স্বাক্ষরে এই ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন সম্পন্ন হবে মর্মে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই হিসেবে অনেক সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পায় দুদক।

অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘বুধবার সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামী নেছার আহমদ। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!