এশিয়ার ৫ দেশে বাংলাদেশি আলুর বড় বাজার

চাহিদা বেশি ডায়মন্ড আলুর

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৭৪০ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানির বড় বাজার এখন সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলংকা। প্রতিবছর কৃষকের উৎপাদিত এ আলু রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক অর্থ আয় করছে বাংলাদেশ।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৮৯ দশমিক ৮৪২ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছিল। এ অর্থবছরেও ওই পরিমাণ রপ্তানি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

আলু উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন টন আলু উৎপাদিত হয়।

সূত্রমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৩৪৭ মেট্রিক টন, আগস্ট মাসে ২৪৪ মেট্রিক টন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ১৪৯ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরবে ৩২২ মেট্রিক টন, দুবাইতে ২৮৩ মেট্রিক টন, মালয়েশিয়ায় ৮০ মেট্রিক টন ও শ্রীলংকায় ৫৪ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়। ডায়মন্ড, কামবিকা, গ্রানোলা, কার্টিনাল, ম্যানিলাজাতীয় আলুর বেশি চাহিদা রয়েছে বিদেশে।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং থেকে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১৫ হাজার ৪৩৭ মেট্রিক টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৯ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে।

চাহিদা বেশি ডায়মন্ড আলুর
চাহিদা বেশি ডায়মন্ড আলুর

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে প্রচুর আলু রপ্তানি করা হয়। সিঙ্গাপুর, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় আমাদের আলুর বাজার আছে। তবে আগে রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে আলুর বাজার থাকলেও এখন সেটা নেই।’

উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের করেনিং প্যাথলজিস্ট ছৈয়দ মুনিরুল হক জানান, বিদেশে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির মধ্যে আলু রপ্তানিই সবচেয়ে বেশি হয়েছে। তবে আমদানি পণ্যের মধ্যে মটর ডাল, ছোলা, তিল, গমও আছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

ঢাকার আলু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘থিংকস টু সাপ্লাই’ এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘ইউরোপে আলু পাঠাতে পারলে আমাদের দেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত। এছাড়াও কয়েকটি দেশের বাজার আমরা হারিয়েছি। নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য সরকারকে আরো উদ্যেগী হওয়ার দাবি জানাই আমরা।’

সিএন্ডএফ এজেন্ট কালকিনি কমার্শিয়াল লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘এ বছরের তিন মাসে আমি প্রায় ১০০ কনটেইনার আলু পাঠিয়েছি।

তিনি জানান, বিদেশে সাধারণত ডায়মন্ড আলুর চাহিদা বেশি। এই আলুর দামও বেশি পাওয়া যায়।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!