ডিসেম্বর থেকে ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে বিটিভি চট্টগ্রাম

কয়েক মাসের মধ্যে টেরিস্টরিয়াল

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ছয় দশকে ভারতে কখনো আমাদের টেলিভিশন দেখা যেত না। আমাকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন করেছি। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে ৮ ঘন্টা সম্প্রচারে নিয়েছি। আগামী মাস থেকে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাবে। কয়েক মাসের মধ্যে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র টেরিস্টরিয়াল সেবার মাধ্যমে সারাদেশে দেখা যাবে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা আরম্ভ হয়েছে। আগামীতে আরো ১১টি চ্যানেল সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় আছে। নতুন প্রজন্মের মনন তৈরি ও কৃষ্টি সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি দেশ জাতি গঠনে টেলিভিশনগুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে টিভি বাড়ায় বিজ্ঞাপন ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ৪০০-৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বিদেশে চলে যাচ্ছে। তা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। সম্প্রচার মাধ্যম পুরোপুরি ডিজিটালাইজড হলে বিদেশেও বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

দেশের টেলিভিশন খাত গত ১১ বছরে সাড়ে তিন গুণ বাড়ার ফলে পরোক্ষভাবে ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ছয় দশকে ভারতে কখনো আমাদের টেলিভিশন দেখা যেত না। আমাকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন করেছি। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে ৮ ঘন্টা সম্প্রচারে নিয়েছি। আগামী মাস থেকে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাবে। কয়েক মাসের মধ্যে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র টেরিস্টরিয়াল সেবার মাধ্যমে সারাদেশে দেখা যাবে।

এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বে সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্তি, চরিত্রহনন, গুজব ছড়ানো বড় সমস্যা। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আইনের আওতায় আনতে উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে কর আরোপের জন্য এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

দর্শকদের আস্থা অর্জনকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই দর্শকদের আস্থা তৈরি হবে।

বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেন, এক সময়ে অসাধারণ ভূমিকা রাখলেও বিটিভিতে বর্তমানে কিছুটা শূন্যতা রয়েছে। এটি বাণিজ্যিক টিভি নয়। এই শূন্যতা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। বিটিভির আর্কাইভকেও সমৃদ্ধ করতে হবে। তাহলে বেসরকারি টিভিগুলো তা ফলো করতে বাধ্য হবে।

পাশাপাশি মিডিয়ায় কাজ করা তরুণদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার উপর জোড় দেন তিনি। এই বিষয়ে সরকারের অনেক কিছুই করার আছে, যোগ করেন বিভাগীয় কমিশনার মান্নান।

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, আলোচনায় অংশ নেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাসসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি কলিম সরওয়ার, একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব। এতে উপস্থিত ছিলেন সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল।

আরটিএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!