শ্বাসকষ্ট সামাল দিতে অক্সিজেন ট্যাংক ৩৯ হাসপাতালে, চট্টগ্রামে একটিই

সরকারি হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল গ্যাস পাইপলাইন সিস্টেম থাকলেও বেশিরভাগ হাসপাতালেই লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। সিলিন্ডার দিয়েই সরবরাহ করা হয় অক্সিজেন। এতে করোনাভাইরাসের রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের ৩৯টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরল অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছে একটি হাসপাতাল, অপর একটি কক্সবাজারে। তবে কবে নাগাদ এসব অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনের কাজ শুরু হবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শতকরা ৮০ ভাগই বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে যায়। বাকি ২০ ভাগের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ ভাগই ভোগে শ্বাসকষ্টে। এ ধরনের রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। অল্প অক্সিজেন যাদের প্রয়োজন, সিলিন্ডার থেকে ২ থেকে ৪ লিটার অক্সিজেন দিলেই তাদের হয়ে যায়। কিন্তু শ্বাসকষ্টে ভোগা অনেক রোগী আছে, যাদের হাইপার ফ্লো নাসাল ক্যানোলার সাহায্যে উচ্চ চাপে অক্সিজেন দিতে হয়। এতে এত বেশি পরিমাণ অক্সিজেন লাগে যে সিলিন্ডার দিয়ে কুলানো যায় না। তখনই প্রয়োজন পড়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের। এতে অনায়াসে রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয়।

কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ট্যাংক বসবে এমন হাসপাতালগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল ছাড়া অন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো হচ্ছে— ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল।

আড়াইশো শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, মুন্সীগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, জামালপুর জেলা হাসপাতাল, হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, শেরপুর জেলা হাসপাতাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, নীলফামারী জেলা হাসপাতাল, বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল, বরগুনা জেলা হাসপাতাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা হাসপাতাল, ভোলা জেলা হাসপাতাল ও মাগুরা জেলা হাসপাতাল।

এছাড়া বিশেষায়িত পাঁচটি হাসপাতালেও যাবে অক্সিজেন ট্যাংক। এগুলো হচ্ছে খুলনার শেখ আবু নাসের স্পেশালাইজড হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!