বোনের উপর রাগ করে ডবলমুরিংয়ে গলায় দড়ি দিল ভাই

রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার করতো ভাই। নিষেধ করতো বোন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা দিকে না ঘুমিয়ে মোবাইল ব্যবহার দেখতে তা কেড়ে নেয় বোন। তাই বোনের উপর রাগ করে গলায় দড়ি বেঁধে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে।

শুক্রবার (৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার রশিদ বিল্ডিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ইমন হোসেন নামে ১৮ বছরের ওই যুবকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার বোনের বাসা থেকে। পেশায় চা বিক্রেতা ইমন থাকতেন সেখানেই।

তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার চিতলিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. সাহাবউদ্দিন।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুক্রবাদ ভোরে রশিদ বিল্ডিং এলাকা থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মোবাইল নিয়ে ঝগড়ার পর রাগ করে সে আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’

ইমনের বোন রুবিনা আক্তার জানান, স্বামী ও ভাইসহ একই বাসায় থাকতেন ইমন। ইমন পেশায় চা দোকানদার। প্রতি রাতেই ইমন অনেক রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার করতো। বোন হিসেবে তাকে নিষেধ করতেন রুবিনা। কারণ ভোরে সে চায়ের দোকান চালু করতে বাসা থেকে বের হয়ে যেতো। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে না ঘুমিয়ে মোবাইল ব্যবহার করলে রুবিনা তাকে বকা দেয়। মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে ভোর ৪টার তারা দেখেন ইমন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তার গলার দড়ি বাঁধা।

পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তার মরদেহ নামিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে বলেও জানায় ইমনের বোন রুবিনা।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm