চট্টগ্রামের ভাষায় নির্মিত ছবি ‘ন ডরাই’ এবার আসছে টেলিভিশনে

এবারের ঈদে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে দেখানো হবে চট্টগ্রামের ভাষায় নির্মিত দেশের প্রথম সার্ফিং বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’।

আসছে ঈদুল ফিতরে চ্যানেল আই ৮ দিনব্যাপী সাজিয়েছে বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে থাকছে শীর্ষ নির্মাতা ও শিল্পীদের অভিনয়ে ৭টি নতুন চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদের দ্বিতীয় দিন থাকছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ন ডরাই’।

স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত ও তানিম রহমান অংশু পরিচালিত সার্ফিং নিয়ে এটি বাংলাদেশের প্রথম ছবি। দেশব্যাপী ইতোমধ্যে বেশ দর্শকপ্রিয়তাও লাভ করেছে সিনেমাটি।

একজন নারী সার্ফারের জীবন থেকে উৎসাহিত হয়ে এই ছবির গল্প। নারীর এগিয়ে যাওয়ার বার্তা আছে ছবিতে। সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে। সিনেমায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।

ন ডরাই সিনেমাটি স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত সিনেমা। চট্টগ্রামের ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’ জিতে নেয় ২০১৯ সালের সেরা সিনেমার জাতীয় পুরস্কার। চলচ্চিত্রটি একইসঙ্গে অর্জন করে সেরা পরিচালক ছাড়াও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও।

‘ন ডরাই’ সিনেমার জন্য সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তানিম রহমান অংশু। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবুর রহমান রুহেল। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাসিন্দা রুহেল সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শরিফুল রাজ, সাঈদ বাবু, জোসেফাইন লিন্ডেগার্ড প্রমুখ। একজন নারী সার্ফারের জীবন নিয়ে তৈরি ছবিটির গল্প গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। এর প্রায় সব দৃশ্যধারণই হয়েছে কক্সবাজারে। প্রায় সব সংলাপই চট্টগ্রামের ভাষায়। তবে সেখানে এমনভাবে চট্টগ্রামের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সেটা বুঝতে সমস্যা হবে না দর্শকের।

শুরু থেকেই ছবিটি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ ছিল না। শুরুতে ছবিটি দেখার পর সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও সংলাপ নিয়ে জানিয়েছিলেন আপত্তি। ‘ন ডরাই’ নামের সিনেমাটি তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। ‘আপত্তিকর’ আঞ্চলিক ভাষার সংলাপে সংশোধনী না আনলে ছবিটিকে সেন্সর সনদ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। শেষপর্যন্ত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর ছাড়পত্র পায় ‘ন ডরাই’।

এরপর ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে ‘ন ডরাই’ সিনেমার সেন্সর বাতিল ও প্রদর্শনী বন্ধ করার জন্য আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম। এই ছবির মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং হযরত আয়শা (রা.) কে অপমান করায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়। পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে নোটিশদাতা আর এগোননি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!