কারাগারে পরিকল্পনা, অনলাইনে মাদক বিক্রি—ধরা খেয়ে আবারও কারাগারে

যুবদলের সক্রিয় কর্মী মাসুম। আর ইয়াবা ব্যবসায়ী হারুন। তাদের একজন রাজনৈতিক সহিংসতা ও আরেকজন মাদক মামলার দায়ে ছিলেন কারাগারে। সেখানেই একজনের সাথে অন্যজনের পরিচয়। গড়ে ওঠে বন্ধুত্বও। পরিকল্পনা হয় অনলাইনে ব্যবসা করার। তবে সে ব্যবসা মাদক বিক্রির।

জামিনে বেরিয়ে পরিকল্পনামত শুরুও হয় মাদক ব্যবসা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে চলছিল মাদকের বিকিকিনি। সব চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু বাগড়া বাঁধালো পুলিশ।

অনলাইনে মাদক বিক্রি করতে গিয়ে মাসুম (৪২) ও হারুন (৩২) নামে এই দুই কারবারি ধরা পড়লো ডবলমুরিং থানা পুলিশের জালে। শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬৯টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হয় আরো ১২০টি।

পুলিশ জানায়, মাসুম চট্টগ্রাম বন্দর থানা যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দীর্ঘদিন থানা যুবদলের কমিটি না থাকায় কোনো পদে ছিলেন না। তবে প্রায় সময় রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকাকালীন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী হারুনের সাথে তার পরিচয়। পরিচয়ের পর তারা অনলাইনে মাদক বিক্রয়ের ছক তৈরি করেন। সে ছক অনুযায়ী জামিনে বেরিয়ে অনলাইনে শুরু করেন মাদক ব্যবসা।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করি। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬৯টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর থানার পোর্ট কলোনি এলাকার হারুনের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আরো ১২০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা মূলত ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করতো। দরদাম ঠিক হওয়ার পর বিকাশে কিংবা নগদ টাকা প্রাপ্তির পর পৌঁছে দেওয়া হতো মাদক। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।’

এএন/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!