ইয়াবার চালান হস্তান্তরের সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ মাদক কারবারি নিহত

ওসিসহ আহত ৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৩ মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ হাজার পিস ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া বানিয়ারছড়া আমতলী গর্জন বাগান পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৩ মাদক কারবারি হলো- চট্টগ্রামের কর্ণফূলী থানার মধ্যম শিকলবাহ এলাকার মো. আবদুল আজিজের ছেলে মো. জাফর (৩৫), পটিয়া থানার পাইকপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. হাসান (৩৭) ও চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে জহির আহমদ (৪৫)।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো. আমিনুল ইসলাম, কনস্টেবল সাজ্জাদ হোসেন এবং মো. সবুজ। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে চকরিয়ার বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকা থেকে ছয় হাজার ইয়াবাসহ জাহেদা বেগম ও মোজাফফর আহমদ নামের দুই মাদক কারবারিকে আটক করে পুলিশ। তারা পুলিশকে জানায়, শুক্রবার ভোররাতে বানিয়ার ছড়া আমতলি পাহাড়ি এলাকায় একটি ইয়াবার চালান হাত বদল হতে পারে। আমিসহ পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযানে গেলে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ৩ মাদক কারবারিকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ১টি দেশিয় তৈরি এলজি, ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৫ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!