৩ দিনের গুড়িবৃষ্টিতেই প্লাবিত আনোয়ারার নিম্নাঞ্চল, ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

তিনদিনের গুড়ি বৃষ্টিতেই বঙ্গোপসাগরের জোয়ার এসে ভাসিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার রায়পুর গহিরার বার আউলিয়া এলাকাসহ আনোয়ারার নিম্নাঞ্চল। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে বার আউলিয়া এলাকার ১০ হাজার মানুষ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ সংস্কারকাজের জন্য প্রায় ২০০ মিটারের বেড়িবাঁধটিও পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে বসতঘর, কবরস্থান, মসজিদ-মাদ্রাসা, পুকুর, মাছের ঘের ডুবে সাগরের সাথে একাকার হয়েছে। তিন দিনের বন্যায় অধিকাংশ পরিবার ঘরে রান্না-বান্নাও করতে পারেনি।

স্থানীয়রা বলেন, দুইশ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে সাগর গর্ভে চলে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনায় বেডিবাঁধের উন্নয়ন কাজ হলেও বারআউলিয়া এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটির কাজ শেষ না করে ব্লক বসিয়ে দেওয়ায় খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ওঠানামা করছে। ফলে জোয়ারের পানি বাড়লেই প্লাবিত হয় পুরো এলাকা। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারে টানা গুড়ি বৃষ্টিতে জোয়ারের পানিতে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে।
৩ দিনের গুড়িবৃষ্টিতেই প্লাবিত আনোয়ারার নিম্নাঞ্চল, ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 1

এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আবুল হাসান কাশেম বলেন, গত তিনদিন ধরে গুড়ি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রায়পুর ইউনিয়ন ভাসছে। এতে স্থানীয়রা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিনদিন ধরে অধিকাংশ পরিবারে রান্না-বান্না হয়নি। গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ বৃদ্ধা ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে রয়েছে অনেক পরিবার।

রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, ‘বার আউলিয়া এলাকার বেডিবাঁধের খোলা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে দক্ষিণ গহিরা, পূর্ব গহিরা, হাটিয়াপাড়া, পশ্চিম রায়পুর, পূর্ব রায়পুর ও সরেঙ্গা গ্রামের মানুষের ঘরবাড়ি, মসজিদ মাদ্রাসা, কবরস্থান ও দোকানপাট ডুবে গেছে। এর ফলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’

এদিকে আনোয়ারার উপকূলীয় অঞ্চল জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে জোয়ারের পানি প্রবেশ ভোগান্তি বাড়িয়েছে স্থানীয়দের।

এছাড়াও জোয়ারের পানিতে আনোয়ারার নিম্নাঞ্চলগুলোর মধ্যে তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, হাইলধর, পরৈকোড়া, কৈখাইন ও আনোয়ারা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে লোকজনের দুর্দশা বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘চলতি বর্ষার মৌসুম শেষ হলেই মাটির কাজ শেষ করে সিসি ব্লক বসানো হবে। এতে জোয়ারের পানির সমস্যা স্থায়ীভাবে লাঘব হবে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!