হালিশহরে প্লট নিয়ে জোচ্চুরি, গৃহায়ণের ৫ কর্তা দুদকের জালে

চট্টগ্রামের হালিশহর থানার ‘এ’ ব্লক ২ নম্বর রোডের হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা মো. আলম। প্রায় ৩১ বছর আগে আলমের নামে দেড় কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে চার কাঠার একটি বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম হাউজিং এস্টেট। সেখানে শর্ত অনুযায়ী সময় মতো প্লটের কিস্তি টাকা পরিশোধ না করায় আলমের নামে বরাদ্দকৃত ছয় নম্বর প্লটটি বাতিল হয়। কিন্তু জালিয়াতি করে প্লটের নামমাত্র মূল্য পরিশোধ দেখিয়ে তাকে দায়মুক্তির সনদ দেয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় আলমকে প্রধান করে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক আবু সাঈদ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

হালিশহর ‘এ’ ব্লক ২ নম্বর রোডের হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা মো. আলমের গ্রামের বাড়ি পটিয়া। তার বাবার নাম মৃত মো. ইউসুফ।

আলম ছাড়া বাকি পাঁচজন হলেন− চট্টগ্রাম হাউজিং এস্টেটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এস্টেট) মো. নাছির উদ্দিন, এস্টেটের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, এস্টেটের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা একরামুল কবীর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী একিউএম শাহ জালাল মজুমদার ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা অফিসের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

দুদক সূত্রে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হওয়ার আশায় ১৯৯১ সালের ২০ ডিসেম্বর হাউজিং এস্টেটের বরাদ্দকৃত বোর্ড কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য করে অভিযুক্তরা। সেখানে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জাল চালান তৈরি করে সরকারি দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্লটগ্রহীতার কাছ থেকে সরকারি চালান মোতাবেক প্লটটির নামমাত্র মূল্য ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৭ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে মো. আলমের পক্ষে দায়মুক্তি সনদ প্রদান করেন তারা।

এএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!