চট্টগ্রামের ১১ জন ইসি গঠনে ৩২২ জনের তালিকায়

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্নভাবে ৩২২ জনের নামের প্রস্তাব পেয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সেই নামগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কারা এসব ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছে তা প্রকাশ করা হয়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যাদের নাম প্রস্তাব হিসেবে গেছে, তাদের মধ্যে অন্তত ১১ জন চট্টগ্রামের সন্তান অথবা চট্টগ্রামে কর্মরত।

এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, ২০০৬ সালে ভেজালবিরোধী অভিযানের সময় আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট ও পরবর্তীতে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া রোকন উদ-দৌলা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামের সোবহানিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা কাযী মঈনুদ্দিন আশরাফী, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল।

প্রকাশিত তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপক। এরা হলেন— অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. খসরুল আলম কুদ্দুসী।

তালিকায় আছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথের নামও। এছাড়া আছে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বতারা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকীর নাম।

নির্বাচন কমিশন গঠনে নিয়োগের জন্য রাজনৈতিক দল থেকে এসেছে ১৩৬ জনের নাম। পেশাজীবী সংগঠন দিয়েছে ৪০টি নাম। ই–মেইলে এসেছে ৯৯ জনের নাম আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রস্তাব করেছেন ৩৪ জন। এ ছাড়া বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়ও অন্তত ২০ জনের নাম পাওয়া গেছে। পুরো তালিকা পাওয়া যাবে এই লিংকে

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার পর এবারই আইন অনুযায়ী প্রথম ইসি গঠিত হচ্ছে। এ জন্য গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর আইনানুযায়ী ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

অনুসন্ধান কমিটিকে নাম সুপারিশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ কার্যদিবস। সেই হিসেবে তাদের হাতে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায় থেকে আসা প্রস্তাবের বাইরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে অনুসন্ধান কমিটি নিজেরাও যোগ্য ব্যক্তি বাছাই করতে পারবে। সব নামের মধ্য থেকে ১০ জনের নাম বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে অনুসন্ধান কমিটি। সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!