সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুনে পুড়লো ১৩ বসতঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুনে ১৩ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৩টায় মুরাদপুর ইউনিয়নের বসরতনগর গ্রামের নাজির আলী সারাংবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. বাহাউদ্দিন বলেন, ‘রাতে আমাদের ঘরের সামনের একটি বাঁশের খুঁটি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে বাড়িতে আগুন লেগে যায়। আমরা সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে ২ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে আমাদের আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে গেছে। আমরা সবাই ঘুমে ছিলাম। ঘর থেকে কিছু বের করতে পারিনি। বাঁশে প্রথমে কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারছি না। কেউ হয়তো বাঁশে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। সব মিলে আমাদের পরিবারের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

ক্ষতিগ্রস্ত কাইয়ুম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আমার পরিবারের দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।’

প্রবাসী আবুল বসরের স্ত্রী খালেদা আক্তার বলেন, ‘আমার ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় লাখ টাকা, আসবাবপত্রসহ সাড়ে ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে গেছে।’

ক্ষতিগ্রস্ত ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আগুনে আমাদের ২০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণ ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুনে পুড়লো ১৩ বসতঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি 1

এছাড়া আগুনে ফারজানা আক্তারের নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণ ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ ৪ লাখ টাকা, সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন ও এনাম হোসেনের পরিবারের ৭ লাখ টাকা, গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের ৪ লাখ টাকা, সেনা সদস্য এস্কেন্দার মির্জার ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ টাকা, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার তাশারফ হোসেন বলেন, ‘দ্রুত ঘটনস্থলে গিয়ে ২ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে সাতটি যৌথ পরিবারের ১৩টি বসতঘর পুড়ে গেছে। রাতে বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত সব ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারছি না।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!