তোপের মুখে শাহাদাত-বক্কর, সময় বেঁধে দিলেন তারেক রহমান

লন্ডন থেকে ঢাকায় স্কাইপে বৈঠক

চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মাঠ ছেড়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তোপের মুখে পড়েছেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। নগর কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দিলে নেতারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন। চরম অসন্তোষ নিয়ে শাহাদাত-বক্করদের চসিক নির্বাচন পর্যন্ত সময় দিয়েছেন তারেক রহমান।

স্কাইপ কনফারেন্সে চট্টগ্রাম নগর নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচি চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘সবাই মিলে একটা আসনের উপ-নির্বাচনের মাঠেই থাকতে পারোনি, দুপুর ১২টায় পার্টি অফিসে চলে আসছিলে। তোমরা আবার কিসের আন্দোলন করবে? দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। নতুন কমিটির নেতৃত্বে আন্দোলন হবে।’

বিএনপির বিভিন্ন থানা কমিটি ওয়ার্ড কমিটি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন নিয়ে ডা. শাহাদাত সিনিয়র নেতাদের দায়ী করেছেন। আবার কোনো কোনো সহযোগী
সংগঠনের কমিটি গঠনে তার অনুমোদন না নেওয়ায় তিনি আপত্তি জানান। তখন তারেক রহমান বলেন, সিনিয়র নেতাদের দায়ী করে একই পথে তুমিও হাঁটছো। সহযোগী সংগঠনগুলো আমি দেখবো।

দুই দফা স্কাইপ কনফারেন্সের প্রথম দিন সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগর ও থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কয়েকজন সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেন তারেক রহমান। প্রথম দিনে দলের অন্যান্য নেতাদের কথাও শোনেন তারেক রহমান। তিনি ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর বিষয়টি সবাইকে জানান। অতটুকুতে শেষ হয়েছিল প্রথম দিন।

কিন্তু মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা ছয় নেতার সাথে কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে তারেক রহমান নগর বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয়টি জানান। পরে এক নেতা তারেক রহমানকে বুঝিয়ে চসিক নির্বাচন পর্যন্ত সময় চান। এই মুহূর্তে কমিটি ভাঙলে শাহাদাত-বক্কর থেকে হয়তো কাঙ্খিত সহযোগিতা দল নাও পেতে পারে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ৮ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের সার্বিক অবস্থা জানতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নগর নেতাদের সাথে কনফারেন্স করেছেন। কনফারেন্সে তারেক রহমানের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে নিরুত্তর থাকেন নগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

চট্টগ্রাম নগর নেতাদের ঢাকা সফর উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘ভোটাধিকার বঞ্চিতদের মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করে দলটি। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গনি এবং দলের চট্টগ্রামের একাধিক নেতা নির্বাচনে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, ৬ আগস্ট ২০১৯ দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ। তাদের মেয়াদ ডবলমুরিং থানা বিএনপি ও কয়েকটি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোতোয়ালী থানা কমিটি গঠন করেন। এরপর বায়েজিদ, চান্দগাঁও, চকবাজার থানা কমিটি ঘোষণা করতে চাইলে শাহাদাত-বক্করের কমিটি গঠনের ক্ষমতা স্থগিত করা হয়। সেই থেকে ডা. শাহাদাত-বক্কর কমিটি মূলত রুটিন ওয়ার্কই করছে নগর বিএনপিতে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!