চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিলো ১৯ সাংবাদিক

নিরাপদ সড়ক বিষয়ক সাংবাদিকতার বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস)। এতে অংশ নেয় চট্টগ্রামের ১৯ জন সাংবাদিক।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের সহযোগিতায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে দ্বিতীয় দফায় সড়ক নিরাপত্তা সাংবাদিকতার এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় সড়ক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হিসাবে গতি এবং দুর্ঘটনার তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজনীয়তা ও সল্যুশন জার্নালিজমের উপর আলোকপাত করা হয়।

কর্মশালার শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার এনসিডি ড. সৈয়দ মাহফুজুল হক বিশ্বব্যাপী সড়ক নিরাপত্তার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট-জেএইচআইআইআরইউ এর গবেষণা সহযোগী শিরিন ওয়াধানিয়া ও সহকারী বিজ্ঞানী জাবির হোসেন রোড ক্র্যাশর যথাযথ তথ্য-উপাত্তের উৎস ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র গিয়াস উদ্দিন। তিনি চট্টগ্রাম শহরে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোড ক্র্যাশ হ্রাস ও প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

সড়ক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা এবং ট্রাফিক আইন প্রয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দেন গিয়াসউদ্দিন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে সড়ক নিরাপত্তাকে বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রামে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস- সিঙ্গাপুর অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার সুগান্থি সারাভানান।

এতে সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী শাহিন উল ইসলাম চৌধুরী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বিআইজিআরএস-চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ান উৎসব।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি সাংবাদিকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

এদিকে কর্মশালায় ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট-ডব্লিউআরআইয়ের কনসালটেন্ট, স্থপতি ফারজানা ইসলাম তমা সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সঠিক সড়ক ডিজাইনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিআইজিআরএস-চট্টগ্রামের সার্ভিল্যান্স কো-অর্ডিনেটর কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ চট্টগ্রাম রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২০-২০২২ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, রোড ট্রাফিক ইনজুরি (আরটিআই) বিশ্বে মৃত্যু এবং অক্ষমতার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ রোড ক্র্যাশের কারণে প্রাণ হারায়। এছাড়া চসিক ও সিএমপি থেকে যৌথভাবে প্রকাশিত চট্টগ্রাম রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২০-২২ এ দেখা গেছে, চট্টগ্রামে ২০২০ থেকে ২২ সালের মধ্যে ২৬৩ জন রোড ক্র্যাশে প্রাণ হারিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রতিবেদনটিতে শহরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি সড়ক করিডোর এবং স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!