রাতে পটিয়ার তরুণীকে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ, জড়িত ৫ যুবক

গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পটিয়ায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হৃদয় হোসেন সাগর (৩০) নামের আটক যুবক উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পুত্র।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী এলাকা থেকে পটিয়া কালারপুল ফাঁড়ির পুলিশ সাগরকে গ্রেফতার করেছে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা মোহাম্মদ ছৈয়দ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে সাগরকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায় , উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের এক গার্মেন্টস কর্মী পটিয়া পৌর সদরের আমজুরহাট এলাকার একটি গার্মেন্টসে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করে আসছেন। সোমবার সকালে ১৬ বছর বয়সী ওই গার্মেন্টস কর্মী প্রতিদিনের মত চাকরিতে যান। কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে কুসুমপুরা ইউনিয়নের গাজী মসজিদ এলাকা থেকে ওই তরুণীকে ৫ জন যুবক জোরপূর্বক একটি সিএনজি করে তুলে নিয়ে যায়।

পরে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের নির্জ্জন একটি এলাকায় নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ওই গার্মেন্টস কর্মী তার পিতাকে ঘটনাটি জানান। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ ধর্ষণের শিকার তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান।

ধর্ষিতা তরুণীর পিতা অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে জোরপূর্বক ৫ যুবক ধর্ষণ করেছে। এর মধ্যে সাগর, এমরান, মহিউদ্দিন, রনির নাম জানা গেছে।

পটিয়া থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, গার্মেন্টস কর্মীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে একজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!