রাতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার চকরিয়ায়, হত্যা নাকি আত্মহত্যা— উঠেছে প্রশ্ন

বিকেলে ঘরে ঢুকতেন এক লোক, সন্ধ্যায় চলে যেতেন

স্বামী বাসার বাইরে থাকাকালীন প্রতিদিন ইয়াসমিনের বাসায় আসতো এক লোক। ইয়াসমিনের স্বামী মোয়াজ্জেম ঢাকায় গেলে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালেও আসেন তিনি। সন্ধ্যায় বাসা থেকে ওই লোক যেতেই প্রতিবেশী মহিলারা দেখতে পান গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে ইয়াসমিনের দেহ।

পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা এসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকায় ইয়াসমিন আক্তারের (২৮) মৃত্যু রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা-তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়া একটি ভাড়া বাসায়। ইয়াসমিন ও গাড়িচালক মোয়াজ্জেম থাকতেন বাসাটিতে। দুইজনেরই দ্বিতীয় বিয়ের সংসার ছিল। তবে মোয়াজ্জেম পালা করে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গেও থাকতেন।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সন্ধ্যায় মুসলিম পাড়ার কয়েকজনক ব্যক্তি পুলিশকে জানায়, ভাড়া বাসায় ফাঁস খেয়ে মারা গেছে ইয়াছমিন। পুলিশ ওই ঘর তল্লাশি করে সিগারেটের অংশবিশেষ পায়। এতে সন্দেহ হলে বাসার লাগোয়া কয়েকজন বাসিন্দার সাথে আলাপ করে জানতে পারি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিদিনকার মতো একজন ব্যক্তি বিকেলে ওই ঘরে আসে। সন্ধ্যায় চলে যায় লোকটি। এরপর উৎসুক কয়েকজন মহিলা ওই বাসায় গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় ইয়ামিনের মরদেহ দেখতে পাই।

স্থানীয় লোকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আরও বলেন, নিহত ইয়াছমিনের প্রথম স্বামীর ঘরে আট বছর বয়সী এক সন্তান থাকলেও সে থাকতো বাবার ঘরে। গাড়িচালক মোয়াজ্জেম কয়েকদিন প্রথম স্ত্রীর ঘরে এবং কয়েকদিন ইয়াছমিনের সাথে থাকতো। ঘটনার সময় মোয়াজ্জেম ছিল ঢাকায়। জনৈক ব্যক্তির আনাগোনায় ইয়াছমিন আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।

এদিকে রাত ১২টা পর্যন্ত ইয়াছমিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম।

এদিকে ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকেও (পিবিআই) জানানো হয়েছে বলে ওসি জানান।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!