মোতালেবের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায়, দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির দাবি

নৌকার বিরুদ্ধে নামায় তুমুল সমালোচনা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করে এলাকায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বেকারিপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বনফুলের মালিক ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব।

মোতালেবের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায়, দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির দাবি 1

তার বিরুদ্ধে এবার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় পৃথকভাবে ঝাড়ু মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মোতালেবের কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়। দুই সমাবেশ থেকেই সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি তোলা হয়।

মোতালেবের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায়, দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির দাবি 2

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে দুই উপজেলায় পৃথকভাবে এমএ মোতালেবের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচি পালন করে। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া— এই দুই উপজেলাতেই মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ।

মোতালেবের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায়, দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির দাবি 3

বিকেল ৪টার দিকে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ এলাকায় এ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একই সময় সাতকানিয়া রাস্তা মাথা থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি কেরানীহাটে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সরাসরি অবস্থান নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চূড়ান্ত বেঈমানি করেছেন এমএ মোতালেব। এই বেঈমানের আর একমুহূর্তও দলীয় কোনো পদে থাকার অধিকার নেই। অবিলম্বে তাকে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিতে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন জানাই।

বক্তারা আরও বলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর শামসুল ইসলামের অনুসারী জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে তামাকুমন্ডি লেইন, টেরিবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজারে বনফুলের মালিক এম এ মোতালেব মিটিং করেছেন। এর ছবি ও ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এরপর থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নয়, জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় নিজেকে হাজির করেছেন। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের ব্যবহার করে তিনি নৌকা প্রতীক ঠেকিয়ে জামায়াতের হাতে এই আসনটি তুলে দিতে তাদের সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া আওয়ামী আদর্শের জনগণ এই ষড়যন্ত্র কিছুতেই সফল হতে দেবে না।

সাতকানিয়ায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম ফেরদৌস রুবেল, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হারেজ মুহাম্মদ, সদস্য আবুল হোসেন মনু, নাছির উদ্দিন, সাতকানিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আনিচ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি কেএম পারভেজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, গণযোগাযোগ বিষয় সম্পাদনা জায়েদ খান জয়, সাবেক সহ সভাপতি তারেক সোহান, সহ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ইমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিদুয়ান, সাতকানিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাফসান আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়ার ফারুক ইমু প্রমুখ।

অন্যদিকে লোহাগাড়া উপজেলায় আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুচ্ছাফা চৌধুরী, লোহাগাড়া আওয়ামী লীগ নেতা গনি সম্রাট, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক জহির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ফজলে এহালী আরজু, আব্দুল হান্নান ফারুক, লোহাগাড়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক নুনু।

লোহাগাড়ার সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, আমিরাবাদ ইউনিন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ ইউনুস, চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন, আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আসিফুর রহমান চৌধুরী, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বোরহান সোবহান এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!