মুজিববর্ষে হালদা নদী হবে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করে সেখানে নদীর তীরবর্তী এলাকায় একটি নান্দনিক তোরণ ও নামফলক স্থাপন করবে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট।

তোরণ ও নামফলক ছাড়াও হালদা নদীর পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ একটি স্থায়ী বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। যখন হালদা নদীতে রুইজাতীয় মাছ ডিম ছাড়বে তখন প্রধানমন্ত্রী এটি উন্মোচন করবেন বলে সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে।

এছাড়া দেশের দুটি গ্রামকে ‘মৎস্য গ্রাম’ ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। পাশাপাশি মাছের তথ্য সংগ্রহে জরিপ পরিচালনা, জেলে ও মাছ চাষীদের দল গঠন, জলাশয় সংস্কার, মাছের অভয়াশ্রম স্থাপন ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানসহ অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচির আওতায় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭২ সালের ৪ জুলাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ।’ বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই মৎস্য অধিদফতর মুজিববর্ষকে সামনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কাজ, ইলিশ সম্পদের স্থায়িত্বশীল আহরণ, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের রফতানি বাড়ানো এবং মান উন্নয়নে কাজ করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নেত্রকোনার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া এবং শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার হালইসারকে ‘মৎস্য গ্রাম’ হিসেবে ঘোষণার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় জরিপ ও তথ্য সংগ্রহ, মৎস্য ক্ষেত্রের চাহিদা নির্ণয়, পুঁজি, উপকরণ, প্রশিক্ষণ, জেলেদের একটি দল গঠন, মাছ চাষীদের আটটি দল গঠন, জলাশয় সংস্কার, মাছচাষি প্রশিক্ষণ ও সঞ্চয় ব্যবস্থাপনা, নয়টি মাছচাষ প্রদর্শনী, জাল সরবরাহ, বিল ও প্লাবন ভূমিতে সমাজভিত্তিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় একটি উন্মুক্ত জলাশয়, একটি অভয়াশ্রম স্থাপন, একটি বিল নার্সারি স্থাপন, ৩৩০ কেজি পোনা অবমুক্তি এবং জেলেদের মৎস্য আইন, মৎস্য সংরক্ষণ ও শুটকিকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে ১০০ জেলে পরিবারকে গাভী প্রতিপালন, ১২০টি জেলে পরিবারকে ছাগল প্রতিপালন, ৪৮৮টি পরিবারকে হাঁস-মুরগী ও টার্কি পালন এবং সবজি চাষে সহায়তা দেবে অধিদফতর।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!