মহিউদ্দিন কখনো একনেকে প্রকল্প পাঠাতেন না

স্মরণসভায় গভীর শ্রদ্ধা চট্টল বীরের প্রতি

চট্টগ্রামের শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী কখনো একনেকে কোন প্রজেক্ট পাঠাতেন না।

সিটি কর্পোরেশনের নিজ অর্থায়নে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে যেভাবে তিনি উন্নয়ন করেছেন তা নিদর্শন হয়ে থাকবে। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায়ও তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমু বলেন, চট্টগ্রামের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা ও ব্যাতিক্রমধর্মী সৃষ্টিশীল রাজনীতি করতেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। মেয়র হিসেবে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতেও তাঁর যে অভূতপূর্ব সাফল্য তা স্থানীয় সরকার পর্যায়ে উন্নয়নের নিদর্শন হয়ে থাকবে। চট্টগ্রামের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার প্রস্তাবও ত্যাগ করেছেন বলে জানান আমু।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আওয়ামী লীগের বাইরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কোন পরিচয় ছিল না। তিনি বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী এবং শেখ হাসিনার অনুগত কর্মী হিসেবে তৃণমূল থেকে জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর আগ্রহ ছিল না।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

সভায় সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এআরটি/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!