শেখ রাসেল শিশু পার্কে আ.লীগের ২ গ্রুপের পাল্টা কর্মসূচি, সংঘাতের আশঙ্কা

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাহাড়তলী ১৩নং ওয়ার্ড শহীদ শাহজাহান মাঠের পাশে সিটি কর্পোরেশন নির্মাণাধীন শেখ রাসেল শিশু পার্ক চত্বরে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের কর্মসূচি পালন করার অনুমতি চেয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে বিপাকে রেলওয়ে কর্মকর্তারা। তবে শেখ রাসেল শিশু পার্কটি তত্ত্বাবধানে রয়েছে চসিক। ইতিমধ্যে চসিক কাউন্সিলর হিরণকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের লিখিত অনুমতি দিয়েছে।

জানা যায়, সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীনের অনুসারী ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন বিজয় দিবস উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে প্রথম চিঠি পাঠান।

অন্যদিকে সাংসদ ডা. আফসারুল আমিনের অনুসারী এমইএস কলেজের ভিপি ওয়াসিম একইস্থানে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা করার কথা উল্লেখ করে পরে চিঠি পাঠান। উভয়পক্ষ তাদের অনুষ্ঠান সফল করতে বদ্ধ পরিকর।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর হিরন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বিজয় দিবসকে ঘিরে ওয়ার্ড থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
কর্মসূচিতে সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন ছাড়াও হাসিনা মহিউদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে শিখা প্রজ্বালন করবেন বলে জানান হিরন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে অনুষ্ঠান করার লিখিত পত্রও পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য অনুমতি পাওয়ার পরও তারা রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে ডিভিশনাল কর্মকর্তা (ডিআরএম) প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা যারা জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি, তা সবার জন্য। তবে পার্কের বিষয়টি সিটি করপোরেশন বিষয়।

এদিকে, আফসারুল আমিন অনুসারীদের পাঠানো চিঠিতে দেখা যায়, চিঠিতে নিবেদকের নিচে শুধু স্বাক্ষর করা আছে। কারো নাম উল্লেক নেই। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ লিখা থাকলেও নেই যোগাযোগের কোন নাম্বার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমএইস কলেজের ভিপি ওয়াসিম চিঠির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে নিয়ম মেনে চিঠি দিয়েছি। ১৬ তারিখ অবশ্যই আমরা আমাদের কর্মসূচি পালনে বদ্ধ পরিকর।

এখন কিভাবে সম্বন্বয় করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রেলওয়ে ডিভিশনাল কর্মকর্তা (ডিআরএম) প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, আমরা জানিনা এমপি মহোদয় কোন অনুষ্ঠান করবেন। কে কিভাবে অনুষ্ঠান করছে সেটাও জানিনা। রেলওয়েকে একটি চিঠি দেওয়া হলেও সেখানে কারো নাম বা নাম্বার পযন্ত নেই। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ওসি সাহেবকে বলেছি, দরকার হলে তিনি তাদের থানায় ডাকুক। আমরা এ অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারী বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনো কাউকে দেননি বলে জানান। তাকে নগর বিশেষ শাখা (সিটি এসবি) থেকে কোন চিঠি বা অবহিত করাও হয়নি বলে জানান।

তবে সিএমপির সিএসবি ডিসি আব্দুল ওয়ারিশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হিরণ সাহেবের অনুষ্ঠান সকালে এবং ডা. আফসারুল আমিন অনুসারীদের অনুষ্ঠান বিকেলে হবে।

জেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!