ভোটের আগে চট্টগ্রামের মাঠ প্রশাসনে রদবদল, একদিনেই নতুন ইউএনও ৮ উপজেলায়

১১ এসি ল্যান্ড পেলেন নতুন কর্মস্থল

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় একদিনেই ৮ উপজেলায় নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ১১ জন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বিভিন্ন উপজেলা ও সার্কেল ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন সব নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতূহল রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। অনেকে বলছেন, সরকার নির্বাচনের আগে পছন্দের কর্মকর্তাদের দিয়ে মাঠ প্রশাসন সাজাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) গাজালা পারভীন রুহি স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে মোট ৮ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, নোয়াখালীর কবিরহাট ও সোনাইমুড়ী উপজেলা।

এর মধ্যে লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরীকে নোয়াখালীর কবিরহাটের নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির বাসিন্দা কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ানকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা নোয়াখালীর কবিরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানাকে কক্সবাজারের চকরিয়ার নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ মে তাকে কুমিল্লার ব্রাক্ষ্মণডাঙ্গা উপজেলায় বদলি করা হলেও পরে সেই আদেশ বাতিল করা হয়।

কক্সবাজারে বাসিন্দা মাসুমা জান্নাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। তাকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

একইভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে যোগ দিয়েছিলে রাঙামাটির বাসিন্দা নু-এমং মারমা মং। তাকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন শিরীন আক্তার। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) তাকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) গাজালা পারভীন রুহি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ১১ জন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও সার্কেল ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জ্বল রায়কে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে। অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুদ্দিন মো. রেজাকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানাকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরাকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসে আনা হয়েছে।

কুমিল্লার বাসিন্দা খাগড়াছড়ির মহালছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ্ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীকে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গালিব চৌধুরীকে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা কক্সবাজার সদর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমানকে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের বাসিন্দা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামীকে কক্সবাজার সদর ভূমি অফিসে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজারের বাসিন্দা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমানকে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!