টানা বৃষ্টি/ ভূমিধসের ঝুঁকি এড়াতে চট্টগ্রামে সতর্কতা, খোলা হল ৮ আশ্রয়কেন্দ্র

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়গুলোর পৃষ্ঠ ও পাদদেশে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য শনিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রামে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এ কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।

ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন পাহাড়গুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে থাকা বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী পাহাড়ের পৃষ্ঠ ও পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মহানগরী এলাকায় মোট আটটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) সমন্বয়ে এ আশ্রয়কেন্দ্র কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও পানির মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকা ও পাহাড়তলী এলাকাধীন পাহাড়গুলোর জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে পাহাড়তলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। কৈবল্যধাম, লেকসিটি, ফয়েজ লেক এলাকার ১ নং ঝিল, ২ নং ঝিল এলাকার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ফিরোজা শাহ ই-ব্লক স্কুলে। মধুশাহ পাহাড়, পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে চট্টগ্রাম মডেল হাই স্কুলে। জালালাবাদ হাউজিং সংলগ্ন পাহাড়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জালালাবাদ বাজার সংলগ্ন শেডে। ট্যাংকির পাহাড় এলাকার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে আল হেরা ইসলামিয়া মাদ্রাসায়। মিয়ার পাহাড়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে রৌফাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। মতিঝর্ণা পাহাড়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পোড়া কলোনী এলাকার পাহাড়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ছৈয়দাবাদ স্কুলে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!