কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে ৮ ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত

কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়কে বিশালাকার শিশু গাছ উপড়ে পড়ে প্রায় ৮ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। ঢাকা হয়ে ছেড়ে আসা দূর পাল্লার বাসসহ স্থানীয় শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। এতে যাত্রী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এছাড়াও এ সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে স্থানীয়দের বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়।

শনিবার (৬ জুলাই) টেকনাফের হ্নীলার মোচনী এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে প্র্রধান সড়কে গাছ পড়ে এ ঘটনা ঘটে। সড়ক ও জনপদ (সওজ) কর্মীরা দ্রুত এগিয়ে না যাওয়ায় সাধারণ যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকের ভোগান্তির শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভোগান্তিতে পড়া লোকজন জানায়, ভোররাতে প্রবল দমকা হাওয়ায় মোচনীর দক্ষিণ পাশের বড় শিশু গাছটি প্রধান সড়কের উপরে পড়ে যায়। সকাল হলে ঢাকা হয়ে ছেড়ে আসা দূর পাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। তখন স্থানীয় লোকজন দা-কুঁড়াল নিয়ে গাছটি কাটতে শুরু করে। এছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন খবর পেলেও দুর্যোগ পরিবেশের কারণে বিলম্বে কাজ শুরু করায় এ ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। দীর্ঘ আট ঘণ্টা ভোগান্তির পর দুপুর বারোটায় কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি বিদ্যুতের তার ছিড়ে গিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানান এনজিও কর্মকর্তা সৈয়দুল আমিন চৌধুরী।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ আলী, ঝড়ো হাওয়ায় বড় গাছ পড়ে যানবাহন ব্যাহত হওয়ায় এ দুর্ভোগের শিকার হন হাজারো মানুষ।

এই ব্যাপারে সওজের স্টক ইয়ার্ডে কর্মরত জামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ এবং সওজের কর্মীরা দ্রুত গাছটি অপসারণ করলে যান চলাচলের অবস্থা স্বাভাবিক হয়। এর পূর্বে শত শত যানবাহন বিকল্প ব্যবস্থা না দেখে ফিরে যায়।

এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি তদন্ত মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, প্রচুর বৃষ্টির কারণে একটি বেশ বড় শিশু গাছ সড়কের উপরে যান চলাচলে আটকে যায়। সকলের প্রচেষ্টায় এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!