ভুয়া সনদে চাকরি চট্টগ্রামের বিপিসি কর্মকর্তার, বয়সও ছিল বেশি

মোরশেদ হোসাইন আজাদ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) চট্টগ্রামের দপ্তরের ডেপুটি ম্যানেজার (ডিজিএম)। প্রায় ১২ বছর আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। ওই সময় তার বয়স বেশি থাকার পরও জালিয়াতি করে এবং ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিয়ে নেন চাকরি।

সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি দুদকের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে এই অভিযোগ দেওয়া হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন চট্টগ্রামের সল্টগোলা দপ্তরে উপ-মহাব্যবস্থাপক (বণ্টন ও বিপণন) পদে কর্মরত রয়েছেন এই কর্মকর্তা।

অভিযোগের বিবরণে বলা হয়, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডে (বিপিসি) উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় পত্রিকায়। পরে সেখানে উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) পদে আবেদন করেন মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদ। ওই নিয়োগের সংশ্লিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসহ অনূর্ধ্ব ৩০ বছর (৩১-০৩-২০০৯ তারিখে) বলা হলেও ওই সময় তার বয়স ছিল ৩৬ বছর ৪ মাস ২১ দিন।

বিজ্ঞপ্তিতে ওই পদের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল ৮ বছর। কিন্তু সেখানে তার কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকার সত্ত্বেও ‘গ্লোয়ার ট্রেডিং’ নামের ভুয়া একটি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা সনদ জমা দিয়ে উপব্যবস্থাপক (বিপণন) পদে নিয়োগ পান। তার এই নিয়োগের বিপিসির অডিট প্রতিবেদনে আপত্তি রয়েছে।

আরও জানা গেছে, মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠার পর জালিয়াতি ও অফিসের নথিপত্র গায়েব করে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি নেন। বর্তমানে বিপিসির চেয়ারম্যান ও সচিব নতুন হওয়ায় মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদের জালিয়াতির ব্যাপারে অবগত নন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ ভাল বলতে পারবেন এই ব্যাপারে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক না।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!