চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদককে হয়রানির নিন্দায় চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতারা

‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সাংবাদিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার দুঃখজনক’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের মামলা-হুমকি দেওয়ার ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন—সিইউজের নেতারা।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে দায়ের করা চারটি মামলায় আসামি হয়ে সিইউজে সদস্য চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারসহ পত্রিকা সংশ্লিষ্টরা দুই বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

নেতৃবৃন্দ এ ধরনের ঘটনাকে ‘সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকি’ বলে উল্লেখ করে এসব মামলা ও সাংবাদিকদের প্রতি হুমকির তীব্র নিন্দা জানান।

সিইউজে নেতারা বলেন, কারও ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের মধ্যে সাংবাদিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে পেশাগত কারণে সাংবাদিকদের সঙ্গে যেকোনো ধরনের বিরূপ আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এফ এম মিজানুর রহমান ও সাংবাদিক সোহেল মার্মাকে স্ব স্ব পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে একটি মহল।

নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের প্রতি এ ধরনের হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জের ধরে দুই বছরেরও বেশি সময় আগে পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক আমির হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের বিরুদ্ধে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে একটি মামলা খারিজ করে দেন আদালত। বাকি দুটি মামলাতে একটি মানহানির অভিযোগ এবং অপর একটিতে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।

পরে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত অপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর পিএইচপি গ্রুপের এমডি ইকবাল হোসেন চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনের উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রকাশক আয়ান শর্মাকে টানা দুইদিন ফোন করে অশালীন ভাষায় হুমকি দেন। এই সময় তিনি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ ছাড়াও বহুবার রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম ব্যবহার করে সরাসরি তুলে নেওয়ার হুমকিও দেন। এছাড়া তিনি একই ধরনের হুমকি দিয়ে অন্তত ৭৯টি ক্ষুদেবার্তা পাঠান মোবাইলে।

এই ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রথম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর-৫৩৭/২২ (কোতোয়ালী) মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন পিএইচপি গ্রুপের এমডি ইকবাল। সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে আদালত ১০০০ টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!