বোয়ালখালীতে সুফিয়ানের গণসংযোগে আবার হামলার অভিযোগ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে ৩০-৪০ জনের একটি দল। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বোয়ালখালী পৌর এলাকা গণসংযোগ শুরু হলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ করেছেন আবু সুফিয়ান। এই হামলায় ঘটনায় অন্তত চারজন নেতাসহ ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘পূর্বনির্ধারিত সময়ে পশ্চিম গোমদণ্ডীর মনসুর আউলিয়ার মাজার জেয়ারত শেষে আমরা যখন গণসংযোগ শুরু করি, তখন সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা আমাদের মিছিলে পেছন থেকে হামলা করে। স্থানীয় জনগণ এবং আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়।’

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ খান বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোনাফ ও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি কাজী রাসেলের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী এই হামলা অংশ নিয়েছে।’

মোস্তাক খান দাবি করেন, এই হামলায় উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রবিউল ইসলাম ইকবাল, পূর্ব গোমদন্ডী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম, মনু, ছাত্রদল নেতা সিদ্দিক আজাদ রিয়াদসহ প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আবু সুফিয়ান আজ যে এলাকায় গণসংযোগ করেছেন সেটা মোরশেদ খানের প্রভাবিত এলাকা। মোরশেদ খানের অনুসারীদের সাথে তাদের ঝামেলা হয়েছে। আমরা হামলা করিনি। প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে আমাদের একটা নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন ছিল। আমরা তাতে ব্যস্ত ছিলাম।’

কোন্দলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমাদের মাঝে কোন কোন্দল নেই। কোন্দলে বিপর্যস্ত ওরা। গতকালও তাদের রক্তারক্তি হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা যখন সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করেছে তখন তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে।’

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনের দুই প্রার্থীর দুটি কর্মসূচি ছিল কাছাকাছি। আমরা খবর পেয়ে অবস্থান নিয়েছিলাম। বড় কোন সমস্যা হয়নি।’

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর রাতে বোয়ালখালীতে বিএনপির এক নেতার প্রয়াত আত্মীয়ের লাশ দেখে ফেরার পথে পৌরসভার কধুরখীল ২ ওয়ার্ডের পাটানপাড়া নামক স্থানে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে। বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ আবু, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু ওই গাড়িতে ছিলেন। গাড়ির চালক ইয়াসিন এ ঘটনায় আহত হন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!