বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতি খুন রামুতে, পুঁতে ফেলা হয় পাহাড়ে

বিদ্যুতের শক দিয়ে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় হত্যা করা হয়েছে একটি বন্যহাতিকে। এরপর ওই হাতিকে খণ্ড-বিখণ্ড করে পুতে ফেলা হয় পাহাড়ে। বনবিভাগ ওই হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলাও।

গ্রেপ্তার হওয়া নজির আহমদ (৭০) রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় ধানক্ষেতে ৫-৬টি বন্যহাতির দল খাবার খেতে নামে। এ সময় ধানক্ষেতটির মালিক নুরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা হাতিগুলো তাড়ানোর চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তারা ধানক্ষেত থেকে তাড়ানোর জন্য হাতিগুলোকে বিদ্যুতের শক দেয়। এতে অন্য হাতিগুলো পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একটি হাতি ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে মৃত হাতিটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খণ্ড-বিখণ্ড করার পর ধানক্ষেতে মাটি চাপা দেওয়া হয়।’

এই বন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে খবর পেয়ে রামু উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিগ্যান চাকমার নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে ঘটনায় জড়িত থাকাদ অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাতিটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা বাদী হয়ে রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং কক্সবাজার বন আদালতে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।’

এমএফও/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!