আবারো বাড়লো সিলিন্ডার গ্যাসের দাম

আরো একদফা বাড়ানো হলো এলপিজি গ্যাসের দাম। প্রতিটি ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের এলপিজি গ্যাসের মূল্য ৯৯৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩ টাকা করা হয়েছে। তবে উৎপাদনে ব্যয় পরিবর্তিত না হওয়ায় রাষ্ট্রয়াত্ত্ব কোম্পানিগুলোর এলপিজির দাম থাকছে অপরিবর্তিত। সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের মতই ৫৯১ টাকা থাকছে।

আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি প্রতি লিটার গ্যাসের দাম ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশ থেকে গ্যাস তৈরির কাঁচামাল আমদানি করি। এবার যেহেতু বৈশ্বিকভাবেই গ্যাসের দাম বেড়েছে তাই আমাদেরও বেড়েছে। পরবর্তীতে যদি আন্তর্জাতিকবাজারে দাম কমে তখন আমাদের দামও কমবে।’

এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজিরি দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে গণশুনানির ঘোষণা দেয় বিইআরসি। এর বিরুদ্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি স্থগিত করে দেন উচ্চ আদালত।

এ বিষয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুনানির বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে কমিশনের আইনজীবীদের কাছ থেকে আইনগত মতামত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত আজকালের মধ্যে সবাইকে জানানো হবে।’

বিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!