বিসিবির আজকের অনির্ধারিত জরুরি সভায় সমাধান আসতে পারে

ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি

বিসিবির অন্যতম শীর্ষ পরিচালক যথাক্রমে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ও প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন- তিনজনই এক বাক্য মেনে নিয়েছেন ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি বাড়ানোর দাবিটা সমাধানযোগ্য। পাশাপাশি আরও কজন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা ও বোঝা গেছে, বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের বাড়ানো, এনসিএলের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামো আরও সুদৃঢ় করা এবং সর্বোপরি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদল আগের মতো উন্মুক্ত রাখার এসব দাবি নিয়ে বোর্ডে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নেই। সোমবার ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে রাখা ১১ দফা দাবির শতভাগ না মানলেও, বেশিরভাগই সমাধানযোগ্য মনে করছেন তারা।

তবে বোর্ড কর্তাদের কথায় পরিষ্কার, হুট করে এমন বিস্ফোরণমুখ অবস্থা ও মিডিয়ার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়া পেশকে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি বোর্ড। আর সে কারণেই সোমবার বোর্ড কর্তাদের কারও ফোন যায়নি সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের কাছে। তাদের ভাবটা এমন, ক্রিকেটাররা আমাদের কাছে না এসে, মিডিয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছে, আমরাও মিডিয়ার মাধ্যমেই ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে জানিয়ে দেব।

ভেতরের খবর হলো, খুব সম্ভবত এটাই হতে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ব্যাপারে বিসিবির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর উপায়। সে প্রেক্ষিতেই আজ (মঙ্গলবার) বোর্ডে এক অনানুষ্ঠানিক সভা ডাকা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের খুব কাছের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজ দুপুর ১২টায় তিনি বোর্ডে আসবেন এবং আসার সুযোগ থাকা বোর্ড পরিচালকদেরও আসতে বলা হয়েছে। সেখানেই পুরো পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই অনানুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, ম্যাচ ফি ও আনুসঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছবে বোর্ড। যেখানে সবগুলো দাবি শতভাগ না মানলেও, বেশিরভাগ সিদ্ধান্তই ক্রিকেটারদের পক্ষে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ক্রিকেটারদের এমন হুট করে ডাকা আন্দোলনের পেছনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টাও চলবে। এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘এটা (ক্রিকেটারদের ধর্মঘট) ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা এবং আমরা খুটিয়ে দেখছি কেউ বা কোন মহল ক্রিকেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছে কি-না?’ ভাবার কারণ নেই, এটা বিসিবির অন্যতম শীর্ষ পরিচালক জালাল ইউনুসের ব্যক্তিগত মন্তব্য। সোমবার রাতে বেক্সিমকো কার্যালয়ে হওয়া বোর্ড পরিচালকদের উচ্চ পর্যায়ের একটা অনানুষ্ঠানিক সভায় এ কথাই বেশি আলোচিত হয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দাবিদাওয়া পেশ ও তা সমাধানের সময়সীমা নির্ধারণ না করে, এভাবে দল বেঁধে বোর্ডে আসা ও আল্টিমেটামের ডাক দেয়ার প্রক্রিয়াটা ইতিবাচকভাবে নেয়নি বোর্ড। এখন প্রাথমিকভাবে বিসিবি হয়তো সমাধানের চেষ্টা করবে, তবে ভবিষ্যতের জন্য এটি কেমন প্রভাব ফেলবে- সেটিই দেখার বিষয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!