বাড়ছে বিড়ি সিগারেট ও জদ্দা গুলের দাম
নতুন বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নিম্নমানের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দশম জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে বাজেট পেশকালে তিনি তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়ে বেশি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রতিবেদনে বলেছেন, বাজার অর্থনীতিতে কাম্য না হলেও দীর্ঘদিন ধরে সিগারেটের ওপর কর আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে সিগারেটের মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। তবে এখন থেকে সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্যই শুধু নির্ধারণ করা হবে।
এক্ষেত্রে নিম্নমানের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন তিনি। একই সঙ্গে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক হার ৪৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং এর ঊর্ধ্বে যে দু’টি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান আছে সেটি ৬১ এবং ৬৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬২ ও ৬৪ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
বিড়ি-সিগারেটের মতোই আরেকটি ভয়াবহ পণ্য জর্দা ও গুল। জর্দা ও গুলের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে এ পণ্য দু’টির ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার ৬০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।
বর্তমানে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার বিড়ির বাজারজাত মূল্য হলো ৭ টাকা ৬ পয়সা আর ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার বিড়ির প্রতি প্যাকেটের মূল্য হলো ৭ টাকা ৯৮ পয়সা।
দুই ধরনের বিড়ির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশে বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেন তিনি। এছাড়া ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের দাম হবে সাড়ে ১০ টাকা আর ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম হবে ১২ টাকা।
রিপোর্ট : রাজীব
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::
