বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে নগর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে নগর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ 1নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দুই প্রয়াত নেতার ভাস্কর্য্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে মিছিল করেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর জহুর হকার্স মার্কেট থেকে শুরু হয়ে এ মিছিল লালদিঘী মোড় প্রদক্ষিণ করে কোতোয়ালী থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দুই প্রয়াত নেতার ভাস্কর্য্য ভাঙ্গার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে এ ঘটনায় জনসম্মুখে ক্ষমা প্রার্থনার দাবী করছি।

আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, তেতুল হুজুরের দোয়া নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চালানো যাবেনা।

মেয়রের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, আইনকে অন্যায়ের শাস্তি থেকে বাঁচতে ব্যবহার করবেন না। পিতা মুজিব বাঙ্গালীর সর্বোচ্চ আবেগের স্থান ড্রেনের স্লাবের উপর যদি আবক্ষ মুর্তি নির্মাণ করা হয়ে থাকে তবে সে স্লাব ভাঙ্গা হলো না কেন? বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের অনুমতি যদি প্রয়োজন হয় তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভবন ও চমেকে যে দুটি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্মারক নির্মাণ কাজ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে পরিচালিত হয়েছে তার অনুমতি স্মারক নং কত আমরা জানতে চাই।

নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজীম রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মাতৃভূমিকে নিয়ে যেভাবে আপোষ হয়না তেমনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপোষ হয়না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চট্টলশার্দুল জহুর আহম্মেদ চৌধুরী আর চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আবক্ষ মুর্তি ভেঙ্গে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

আওয়ামী লীগের সমর্থন লাভ করে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে জনগনের মতামতকে উপেক্ষা করে দলীয় নেতাকর্মীদের মনে বারবার আঘাত করা হচ্ছে। সংগঠন সহযোগী সংগঠনকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে করে আগামী নির্বাচনে দলীয় ভাবে প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারা রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত না হয়। অতীতে দেখেছি একজন এমপি চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর শরীরে পাকিস্তানি পায়জামা পড়িয়ে দিয়েছেন। আর এবার দেখলাম বঙ্গবন্ধুসহ দুই প্রয়াত জননেতার ভাস্কর্য ভেঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর আওমিলীগ নেতা সরফরাজ চৌধুরী রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা হাসান মনসুর, আজিজুর রহমান আজিজ, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি একরামুল হক রাসেল, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, ময়নুল ইসলাম শিমুল, সৌমেন বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, গোলাম সামদানি জনি।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এর সাবেক নেতা আশিকুন নবী, ইরফানুল হক জিকু, রাজেষ বড়ুয়া, নিশাত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহিম শামীম, নগর ছাত্রলীগ নেতা কাজী মাহমুদুল হাসান রনি, মিজানুর রহমান মিজান, রাহুল দাস, ওমর গনি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম লিটন, আশিকুন নবী আশিক, সৈয়দ আনিসুর রহমান আনিস, তোফায়েল আহমেদ মামুন, আবদুল রকিব,শফিকুল ইসলাম শাকিল, ওয়াহিদুল আলম, রুবেল সরকার, খোরশেদ আলম, নুরুন্নবী সাহেদ, শাহাদাত হোসেন হিরা, এনামুল হক মানিক, নয়ন উদ্দীন প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!