প্রশাসনের যোগসাজশে কক্সবাজারে চলছে সরকারি জায়গা দখল!

কক্সবাজার সদরের কলাতলীর সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ড্রাগন মার্কেটের পাশে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে অবৈধ দোকান নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। চার জনের চিহিৃত একটি দখলবাজ সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে ওই স্থানে দোকান নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসন একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালালেও সেগুলিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি জমিতে অবৈধ দোকান নির্মাণের কারণে পর্যটন এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সৈকত এলাকার শীর্ষ দখলবাজ শহরের বাহারছড়ার জয়নাল, মনিয়া, সৈকতপাড়ার নজু, কলাতলীর মিঠুর নেতৃত্বে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে যাচ্ছে। তাদের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে নির্মাণকৃত দোকানগুলো কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে বাৎসরিক চুক্তিতে ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টের ড্রাগন মার্কেটের পূর্ব পাশের ওই স্থানে ইতোপূর্বে নয়বার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় অর্ধশত অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছিল। উচ্ছেদ করে উদ্ধারকৃত সরকারি জমিতে তারকাটা দেয়াসহ ৯০টি নারকেল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল। এছাড়া উচ্ছেদ অভিযানের কিছু দিন যেতে না যেতেই তারকাটা, নারকেল গাছ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে যায় সৈকত এলকার দখলবাজ জয়নাল, মনিয়া, নজু ও মিঠুর নেতৃত্বাধীন দখলবাজ চক্রটি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ওই চিহিৃত দখলবাজ সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণ করলেও প্রশাসনের কোনো খবর নেই। অনেক সময় দিনের আলোয় প্রকাশ্যে সরকারি জমি দখল হয় সুগন্ধা পয়েন্টে। দখলকৃত টিনের তৈরি স্থাপনা বছরের শেষে আবার ইটের তৈরিও করে নিয়েছে অনেকেই। ড্রাগন মার্কেট থেকে প্রধান সড়ক পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে থাকা অর্ধশত দোকানের মধ্যে প্রতি দোকানদার থেকে নেওয়া হয় বছরে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করে। আবার এককালীন এই অবৈধ দোকান বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকায়।

সচেতন মহলের দাবি, যদি প্রশাসন ম্যানেজ হয়ে না থাকে তাহলে কেমন করে দখলবাজ চক্র প্রকাশ্যে সরকারি জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করে যাচ্ছে।

ড্রাগন মার্কেটের পাশেই নতুন দখল করা দোকানের মালিক আলাউদ্দিন বলেন, ‌‘সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে সত্য। যদি প্রশাসন ছেড়ে দিতে বলে তাহলে জায়গা ছেড়ে দেব। এখানে একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযানও হয়েছে তাও সঠিক। কিন্তু আমি এক বছর পর্যন্ত দোকান করছি। কেউ বাধা দেয়নি। তবে তিনি জায়গাটি কলাতলীর মিঠুর মালিকানাধীন বলে জানান।’

এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে বিস্তারিত খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি কেউ সরকারি জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করে থাকে তাহলে তা উচ্ছেদপূর্বক দখলবাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!