পুলিশ ফুটবল ক্লাবের বাংলাদেশ প্রিমিয়ারের স্বপ্নপূরণ

অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের। শনিবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচে ওয়ারি ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই প্রিমিয়ারে খেলা নিশ্চিত করেছে এ সার্ভিসেস দলটি। বাকি ৩ খেলার উপর নির্ভর করছে তারা চ্যাম্পিয়ন নাকি রানার্সআপ হয়ে উঠছে দেশের সর্বোচ্চ লিগে।

বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব গত চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ শেষ করেছিল চারে থেকে। ২০১৫ সাল থেকে প্রফেশনাল ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলা দলটি প্রতিবারই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর প্রিমিয়ারে ওঠা হয় না।

চতুর্থবার এসে তারা নাম লেখালো প্রিমিয়ার লিগে। এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ক্লাবটি আবার উঠলো দেশের সর্বোচ্চ লিগে। এর আগে ২০০২ সালে সর্বশেষ পুলিশ দলটি খেলেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।

১৭ ম্যাচ শেষে পুলিশের সংগ্রহ ৩২ পয়েন্ট। তাদের পেছনে থাকা উত্তর বারিধারার পয়েন্ট ২৬ ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের ২৫।

প্রিমিয়ার লিগ নিশ্চিত হওয়ার পর অনেক খুশি দলটির কোচ মো. সেলিম খান। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এই দলের সঙ্গে আছি। আমরা ২০০২ সালে সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলে নেমে যাই। ২০১৫ সাল থেকে খেলে আসছি পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় পর্ব বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে। প্রতিবারই আমরা ফাইট দেই। কিন্তু প্রিমিয়ারে উঠতে পারিনি। চতুর্থবারে এসে আমাদের স্বপ্নপূরণ হলো।’

এ সাফলের পেছনে গল্পটাও বললেন বাংলাদেশের পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম খান, ‘আমরা ৩০ থেকে ৩২ লাখ খরচ করে এ দলটি গঠন করেছি। আমাদের সব খেলোয়াড়ই নিজেদের। ফুটবলার দেখে দেখে আমরা পুলিশে চাকরি দেই। যদি প্রিমিয়ারে ভালো বিদেশি সংগ্রহ করতে পারি তাহলে শীর্ষ লিগেও ভালো করতে পারবো আশা করি।’

চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের প্রস্তুতি সম্পর্কে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার জাতীয় নির্বাচনের সময় আমাদের সব ফুটবলারকেই ডিউটি করতে হয়েছে। নির্বাচনের পরে ক্যাম্প শুরু করি। আমাদের দলে কয়েকজন ভালো ফুটবলার আছে। বিশেষ করে গোলরক্ষক ফয়সাল, ডিফেন্ডার শামীম আহমেদ, মিডফিল্ডার শামীম ও ফরোয়ার্ড আমিরুলের কথা উল্লেখ করবো। আমিরুল ১৭ ম্যাচে একটি হ্যাটট্রিকসহ ১৩ গোল করেছেন। সে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!