পিটিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে চট্টগ্রামের আরএনবি, জামিনে বেরিয়ে আসামির জবান

রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতরে ব্যক্তিগত কোন্দল

চট্টগ্রামের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) বিরুদ্ধে অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন পাহাড়তলী স্ক্র্যাপ ডিপোতে মালামাল চুরির মামলার প্রধান আসামি আকরাম আলী।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ৩৫ বছর বয়সী আকরাম আলী চুরির মামলায় জামিনে বেরিয়ে এসে নির্যাতনের বর্ণনা দেন। একই সঙ্গে তিনি রেলওয়ের মালামাল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। আর এই কাজে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথাও জানান।

এর আগে ১৯ ও ২০ মার্চ রেলওয়ে স্ক্র্যাপ ডিপোর বিপুল মালামাল চুরির ঘটনায় ২২ মার্চ পাহাড়তলীর স্ক্র্যাপ কলোনি থেকে আকরামকে আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। এ নিয়ে ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম প্রতিদিনে নিউজ প্রকাশিত হলে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার কৃষ্ণপদ চক্রবর্তীকে ক্লোজড করা হয়।

জামিনে বের হয়ে আকরাম আলী বলেন, ‘চুরি করেছি সত্যি, শাস্তিস্বরূপ জেল খাটলাম। সেদিন সাংবাদিকদের কাছে হাবিলদার কৃষ্ণপদ চক্রবর্তী জড়িত বলে জানিয়েছিলাম। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্যের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে উনার নাম বলেছিলাম। তারা নির্যাতন করে আমার হাতের নখ তুলে ফেলে। নির্যাতনের সময় তারা আমাকে কৃষ্ণপদ চক্রবর্তীর নাম বলতে শিখিয়ে দেয়।’

হাবিলদার কৃষ্ণপদ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি শুরু থেকে বলে এসেছি, এটি আমার বিরুদ্ধে বাহিনীর কিছু সদস্যের ষড়যন্ত্র। এবার সত্যিটা প্রমাণ হলো।’

নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিদর্শক ইসরায়েল মৃধা বলেন, ‘আকরাম আলীকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। কমান্ড্যান্ট স্যার যাচাই করে ওই ঘটনায় আরেক আসামি বেলালকেও আটক করেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকায় এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে কোন্দলের বিষয়টি অস্বীকার করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। বাহিনীর কিছু সদস্য এসব ঘটনা সৃষ্টি করে তাদের ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। নির্যাতন করে নাম স্বীকার করানোর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!