পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’ ঘিরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পাহাড়ি গ্রামগুলো এখন সাজ সাজ রব। পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করতে প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামগুলোতে চলছে নানা প্রস্তুতি। হাটবাজারগুলোতে পড়েছে কেনাকাটার ধুম।
এদিকে বৈসাবি উৎসবকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির হোটেল-মোটেল আগাম বুকিং হয়ে গেছে। জেলার প্রতিটি জনপদ এখন উৎসবের জোয়ারে ভাসছে। শুক্রবার(১২ এপ্রিল) নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে মূল উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১লা এপ্রিল থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। গ্রামে-গ্রামে চলছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্যবাহী নানা খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান পর্যাক্রমে আনন্দর্যালি, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী পানি উৎসব ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় গড়িয়া নৃত্য’র আয়োজন করেছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকালে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে খাগড়াছড়ি শহরে সপ্তাহব্যাপী ত্রিপুরা সংস্কৃতি মেলা। এ মেলার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও ত্রিপুরা সংস্কৃতিমেলার অন্যতম সংগঠক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল জানান, জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত এই মেলায় প্রতিদিনই প্রজনশীলতার ভিন্নতায় পরিপূর্ণ থাকবে। বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নলেন্দ্রলাল ত্রিপুরা জানান, প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়ি শহরে ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ত্রিপুরা সংস্কৃতি মেলা ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শেষ হবে। এছাড়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ১১ এপ্রিল বর্ণাঢ্য র্যালি মধ্য দিয়ে পুরাতন বছর বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হবে। কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।