পাহাড় কাটছে চট্টগ্রাম মেডিকেল, পরিবেশের অনুমতির সময় নেই পরিচালকের

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পেছনে গোয়াছিবাগান এলাকায় পাহাড় কাটছে কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির ধার না ধেরেই শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা শুরু করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ের পাশাপাশি সেখানে বেশ কিছু বড় গাছও কেটে ফেলা হয়েছে।

পাহাড় কাটছে চট্টগ্রাম মেডিকেল, পরিবেশের অনুমতির সময় নেই পরিচালকের 1

অনুমতি না নিয়ে পাহাড় কাটার সত্যতা পেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কৈফিয়ত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

পাহাড় কাটছে চট্টগ্রাম মেডিকেল, পরিবেশের অনুমতির সময় নেই পরিচালকের 2

এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কর্তৃপক্ষ কিছু জায়গা সমান করার জন্য পাহাড় ও গাছ কাটার অনুমতি চায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর সেই কাজে অনুমতি দেয়নি। অনুমতি পাওয়ার আগেই পাহাড় ও গাছ কেটে ফেলেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

পাহাড় কাটছে চট্টগ্রাম মেডিকেল, পরিবেশের অনুমতির সময় নেই পরিচালকের 3

জানা গেছে, বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলের পেছনে গোয়াছিবাগান এলাকার পাহাড়ের কিছু জমি সমান করার অনুমতি চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন পাঠিয়েছিল মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদনে অনুমতি দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার আগেই গত শুক্রবার রাত থেকেই এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা শুরু করে তারা। পাহাড়ের পাশাপাশি সেখানে বেশ কিছু বড় গাছও কাটা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণের জন্য পাহাড়ের কিছু জমি সমান করার অনুমতি চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন পাঠায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এখনও সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। তার আগেই পাহাড় কাটতে শুরু করে তারা।’

তিনি বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আমাদের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করবে। ঘটনা সঠিক হলে আমরা মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিতে পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলবো।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নেওয়ার আগে পাহাড় কাটা হচ্ছে কেন—জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘আমি বার্ন ইউনিট স্থাপন নিয়ে খুব এক্সাইটেড। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়েছি। এখন তারা কবে অনুমতি দেবে, তার জন্য তো বসে থাকতে পারব না। সামান্য কিছু পাহাড় কেটে কাজ এগিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

মেডিকেলের পরিচালকের এমন বক্তব্যের পর সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সেখানে পাহাড়গুলো কেটে সমান করা হচ্ছে। বড় বড় বেশ কয়েকটি গাছ কেটে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলার প্রায় ৪ কোটি মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই ১০০ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট নির্মাণের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সম্ভাব্য জমি পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। ওই সময় মেডিকেলের পেছনে বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জমি নির্ধারণ করা হয়।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!