পারকিতে নববর্ষে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা

দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত। এ সৈকতে প্রতি বছরই নববর্ষ আসলেই পর্যটক মুখরিত হয়ে ওঠে। এমনিতেই পর্যটন মৌসুমের বাড়তি চাপ, তার সাথে বাংলা নববর্ষ’কে ঘিরে কর্ণফুলী থানা পুলিশের পর্যটকদের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পারকি সমুদ্র সৈকত। আনোয়ারা উপজেলার বারশত ও রায়পুর ইউনিয়নের অংশ নিয়ে পারকির সাগর চরে জেগে ওঠা বিশাল ঝাউ বাগান এক অপরূপ প্রকৃতিতে গড়ে উঠেছে। পারকি সমুদ্র সৈকত দেশের পর্যটক প্রেমীদের নিকট একটি জনপ্রিয় স্থান। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য হিসেবে খ্যাত এই সমুদ্র সৈকত যেন এক দৃষ্টি নন্দন প্রকৃতি। সারিবদ্ধ হাজার হাজার ঝাউ গাছের সবুজ প্রকৃতিতে গড়ে উঠা পর্যটকদের কাছে খুবই ভ্রমণ জনপ্রিয় জায়গা। সাগর ও প্রকৃতি প্রেমী পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতের তিলোত্তমা রূপ দেখতে সৈকত এলাকায় ছুটে আসেন প্রতিনিয়ত।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধিকতর প্রচারের ব্যবস্থা না থাকলেও ইতোমধ্যে আপন মহিমায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ পারকি সমুদ্র সৈকত। প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ আসলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈকতে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক প্রেমী। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছেনা। আর তাই পর্যটনদের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কর্ণফুলী থানা পুলিশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।

বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, প্রতিবছর বাংলা নববর্ষে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন এ সৈকতে। তাই উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলেন, বাংলা নববর্ষকে ঘিরে দূরদুরান্ত থেকে সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সর্বদা পুলিশের টিম সৈকত চরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। পর্যটকরা বিকাল ৫ টার মধ্যে সৈকত চর ত্যাগ করতে হবে। যাতে করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!