লংগদুতে নদীর জলে ফুল ভাসিয়ে ‘বিজু উৎসব’ শুরু

পাহাড়ীদের ঐতিহ্যবাহি প্রধান উৎসব বৈসাবি’র আমেজে পাহাড়ে এখন নানা রঙ্গের আনন্দ। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিহু, সাংক্রান উপলক্ষে লংগদু উপজেলার পাহাড়ি পল্লিগুলোতে সপ্তাহব্যাপি নানা কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।

শুক্রবার, লংগদু উপজেলার বড়াদম বৌদ্ধ বিহারের উদ্যোগে সকাল ছয়টায় বিহারে ফুল দিয়ে প্রার্থনার শেষে বুদ্ধ মুর্তিকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর এলাকার কয়েক শত পাহাড়ী শিশু, তরুন-তরুনী তাদের ঐতিহ্যবাহি পোশাক পরে এবং ফুলে সজ্জিত হয়ে বনবিহার থেকে হাতে ফুল নিয়ে র‌্যালী করে পাহাড়ী গ্রামের উচু নিচু টিলাভূমি রাস্তায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে নদীর জলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে ‘ফুল বিজু’ সহ তিনদিনের বৈসবি উৎসব পালনের সূচনা করা হয়।

লংগদু উপজেলার বড়াদম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সুগত লংকার ভিক্ষু জানিয়েছেন, পুরাতন বছরের যাবতীয় পাপ অকুশল দূর হয়ে নতুন বছরের বিশ্বের সকল প্রাণির মঙ্গল কামনায় নদীতে ফুল উৎসর্গের মধ্য দিয়ে আজ ফুল বিজু পালন করা হচ্ছে।

চৈত্র সংক্রান্তি আগের দিনকে ফুল বিজু বলা হয়। উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা সব জনগোষ্ঠির তরুন-তরুনী ও শিশুরা ফুল সংগ্রহ করে ব্যস্ত এখন নিজের ঘর সাজাতে। আগামী ১৩এপ্রিল পালিত হবে মূল বিজু। তাই প্রতিটি পাহাড়ীদের ঘরে ঘরে পিঠা বানানো ও পাচন তরকারী খাওয়ার আনন্দ। ১৪এপ্রিল অর্থাৎ ১লা বৈশাখ হচ্ছে নতুন বছরের প্রথম দিন। একে বলা গ্যোজাপোজ্যে দিন বা বর্ষবরণ উৎসব। এদিন প্রার্থনার মধ্যদিয়ে পাহাড়ের তিনদিনে উৎসব মেলা শেষ হবে।
প্রতিবছর পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রতি বছর আয়োজিত এই উৎসবকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসক, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিকারা বিহু বলে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!