পানি উৎসবে মাতলো মারমা তরুণ-তরুণীরা

পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব বৈসাবির আনন্দে ভাসছে পাহাড়ি জনপদ। ফুল বিজু, মুল বিজুর পর আজ গজ্যাপজ্যার মধ্য দিয়ে চাকমাদের বিজু উৎসব শেষ হলেও মারমা জাতিগোষ্ঠির ‘সাংগ্রাইং’ শুরু হয়েছে আজ।

ভোর থেকেই নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে মারমারা। বৌদ্ধকে স্নান করিয়ে বুদ্ধ পূজা হয়। বিশেষ ফুল দিয়ে ঘরদোর সাজানো হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় পানখাইয়াপাড়া বটতলায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই র‌্যালির উদ্বোধন করেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যালিতে মারমারা বর্ণিল সাজে অংশ নেয়। তারা নেচে গেয়ে শহরকে উৎসবমুখর করে তোলে। পরে সাংগ্রাই-এর প্রধানতম আকর্ষণ জলকেলি বা মৈত্রীময় জলবর্ষণ শুরু হয়। একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে নতুন বছরকে বরণ করেন। জলকেলি নামে পরিচিত এই উৎসবে সব বয়সীরাই যোগ দেন। তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণই যদিও বেশি দেখা যায়। নেচে গেয়ে তারা উল্লাস করেছেন। এছাড়াও সাংগ্রাই উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় চলছে খেলাধুলার আয়োজন।

এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। পরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউন হলে এসে শেষ হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!